নিজেদের অর্থায়নে বদ্বীপ তথা ডেল্টা পরিকল্পনা-২১০০ বাস্তবায়ন করবে সরকার। তবে উন্নয়ন সহযোগীরা সহায়তা নিয়ে এগিয়ে এলে তা সানন্দে গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।
তিনি বলেন, 'আমরা স্বাবলম্বীভাবে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চাই। কেউ যদি অংশ নিতে চায় আমরা সানন্দে গ্রহণ করব। আমরা উন্নয়ন সহযোগীদের স্বাগত জানাব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরা নিজেদের কাজ নিজেরা করব। কারণ এটা আমাদের মঙ্গলের জন্য। এর কোনো বিকল্প নেই।'
বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকালে শেরে বাংলা নগরস্থ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ডেল্টা পরিকল্পনা-২১০০ বাস্তবায়ন নিয়ে উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে মত বিনিময় করা হয়।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, 'এ বদ্বীপকে রক্ষা করতে হবে। এ পরিবেশ, আবহাওয়াকে সারা বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। দারিদ্র্য মোকাবিলা করতে হবে। এই কাজটা ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত এর গতি আরও বাড়বে।'
তিনি বলেন, 'আমারা সকলের সাহায্য সহযোগিতা চাই। বিশেষ করে আমাদের প্রতিবেশী যারা আছে ভারত, নেপাল, চীন, মিয়ানমার যেখান থেকে আমাদের পানি আসে তাদের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা আরও বাড়বে। ঘরে যারা কাজ করেন থিঙ্কট্যাঙ্ক, সিভিল সোসাইটি তাদের থেকেও আমরা সহযোগিতা নেব। জাতীয় মহাপরিকল্পনা হিসেবে বাস্তবায়ন করব।'
এম এ মান্নান বলেন, 'ডেল্টা প্ল্যান আমাদের জীবনের একটা বিশাল পট পরিবর্তনের বিষয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা এটা হাতে নিয়েছি। নিজস্ব পরিকল্পনা আছে। এর আওতায় এসডিজির মুখ্য সচিবের অনেক কাজ করার সুযোগ আছে।'
তিনি আরও বলেন, '১০০ বছরের পরিকল্পনায় আমাদের হাতে আছে ৮১ বছর। এর মধ্যে প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা হাত দেব। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে, কৃষি, শিক্ষা, শিল্প, স্বাস্থ্য, বন্যা মোকাবিলা, দুর্যোগ মোকাবিলা যা মাথায় আসুক না কেন এই জাতির জীবনের প্রতিটি অঙ্গকে ছুঁয়ে যাবে এই ৮০ বছরের কাজ। ৮০ বছরের কাজের মধ্যেই আমাদের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনা, ২০ বছরের প্রেক্ষিত পরিকল্পনা যা আছে এটার মধ্যে থাকবে। বিশাল ছাতার আওতায় অন্যান্য পরিকল্পনাগুলো আসবে।'
পরিকল্পনা কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. শামসুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- সচিব নুরুল আমিন, সচিব কবির বিন আনোয়ারসহ আরও অনেকে।