প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির লটারি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৪ ডিসেম্বর। ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন গ্রহণ ১ ডিসেম্বর রাত ১২টায় শুরু হয়ে শেষ হবে ১৪ ডিসেম্বর রাত ১২টায়। আর ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফি জমা দেওয়া যাবে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ২০২০ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা মহানগরীর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহে শিক্ষার্থী ভর্তির বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্দিষ্ট শূন্য আসনে প্রথম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষা এবং নবম শ্রেণিতে জেএসসি/জেডিসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ'র ভিত্তিতে যোগ্য শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। অন্যান্য শাখায় ভর্তি পরীক্ষা নির্দিষ্ট সূচি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। এ সম্পর্কে ঢাকা মহানগরীর ৩৯টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে দেয়া হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান, নাতি-নাতনি, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীর সন্তান (বাংলাদেশ সচিবালয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়), সংশ্লিষ্ট এলাকার সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীর সন্তান কোটায় আবেদন করার সুযোগ পাবেন।
এছাড়া বিদ্যালয় সংলগ্ন ক্যাচমেন্ট এরিয়ার শিক্ষার্থীদের জন্য ৪০ শতাংশ কোটায় ভর্তির সুযোগ থাকবে। আবেদনকারীর পিতা-মাতা-অভিভাবক যদি সংশ্লিষ্ট থানার ভোটার হন অথবা কোনো বাড়ি বা ফ্লাটের মালিক হিসেবে বসবাসরত থাকেন অথবা কোনো সরকারি বাসার এ্যালোটি হন অথবা ভর্তি বিজ্ঞপ্তি জারির তারিখে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন (ইউটিলিটি সার্ভিস'র প্রত্যায়ন সাপেক্ষে) সেক্ষেত্রে ক্যাচমেন্ট এলাকার বিদ্যালয়ে আবেদন করার সুযোগ পাবে।
গণভবন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়র জন্য গণভবনে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ২ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে।
৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির মোট আসনের ১০ শতাংশ কোটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।
কোনো প্রতিষ্ঠানে আবেদনকারী শিক্ষার্থীর সহোদর/সহোদরা বা যমজ ভাই-বোন যদি পূর্ব থেকে অধ্যয়নরত থাকে তবে আসন শূন্য থাকা ও প্রয়োজনীয় যোগ্যতা সাপেক্ষে ভর্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে। তবে এ সুবিধা কোনো দম্পতির সর্বোচ্চ ২ সন্তানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।