ঘরছাড়াদের পুনর্বাসনে উদ্যোগ জরুরি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-26 05:11:39

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যেসব মানুষকে নিজের বাড়িঘর ছেড়ে বিতাড়িত হতে হচ্ছে তাদের পুনর্বাসনের জন্য সোচ্চার ভূমিকা পালন করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সিরডাপের সিআইসিসি মিলনায়তনে ‘জলবায়ু পরিবর্তনে‌ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। হোম মিডিয়া ও এলটিভি বাংলার যৌথ উদ্যোগে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এরই মধ্যে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী এক কোটি গাছ লাগানোর কথা উল্লেখ করেছেন। কিন্তু আমি মনে করি জলবায়ু পরিবর্তনে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে এক কোটিরও বেশি গাছ লাগানো প্রয়োজন।’

দাতা দেশগুলোর কথা উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, ‘সুন্দরবন হলো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বন কিন্তু তার বিপরীতে দাতা দেশগুলোর কাছ থেকে আমরা তেমন সাহায্য সহযোগিতা পাই না। আমরা একটি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হওয়া সত্ত্বেও কোনো সাহায্য সহযোগিতা পাই না। দাতা দেশগুলো দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা আর দেয় না।’

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘স্কুল-কলেজের বইয়ে আমরা জলবায়ুর উপরে বিশেষ অধ্যায় সংযোজন করেছি। এছাড়া আমরা বনায়ন করছি, বিভিন্ন জিনিস উদ্ভাবন করছি। কিন্তু এত কিছু করেও আমরা কতদূর যেতে পারব জানি না। এর জন্য সারা বিশ্বের সজাগ হওয়া প্রয়োজন।’

সেমিনারে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ

দেশের প্রশংসা করে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘অভিযোজনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি আদর্শ দেশ। এরইমধ্যে আমরা অভিযোজন সেন্টার খুলেছি। যা আগামী জানুয়ারিতে পরিপূর্ণভাবে চালু হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আমরা যদি ভালো কোনো উদ্যোগ গ্রহণ না করি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদেরকে ছাড় দিবে না। সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার ক্ষেত্রে আমরা তাদের কাছে দায়বদ্ধ।’

উদ্বোধনী বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সারা বিশ্ব আজ হুমকির মুখে। পরিবেশের ক্ষতি করে এমন কলকারখানা বিশ্বের অনেক দেশেই তৈরি করেছে। এর কারণেই জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। বাংলাদেশ এই ক্ষতির জন্য দায়ী না হওয়া সত্ত্বেও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত তালিকায় আমরা এক নম্বরে। তাই যে সকল দেশ এর জন্য দায়ী তাদেরকে দায়ভার নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত সকল দেশকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসের ক্ষেত্রে মানুষকে সচেতন করতে হবে। আমরা বনাঞ্চল বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি। উপকূলীয় এলাকার মানুষদেরকে বসতি স্থাপনের সুযোগ করে দিতে পারলে হয়তো তারা জলোচ্ছ্বাসের হাত থেকে রক্ষা পাবে। এছাড়া সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ তৈরি করতে হবে।’

পিকেএসএফ’এর সভাপতি ও অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন- বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, অর্থনীতিবিদ ও গবেষক ড. আহমদ আল কবির, হোম মিডিয়া ও এলটিভি বাংলার চেয়ারম্যান মোল্লা আতাউর রহমান মিন্টু, জলবায়ু বিষয়ক গবেষক সৈয়দ জগলুল পাশা, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ, রিয়াল এডমিরাল হারুনুর রশিদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক অধ্যাপক হান্নানা বেগম প্রমুখ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর