রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার শুনানিতে উপস্থিত থাকতে বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি টিম ছাড়াও মানবাধিকারকর্মীসহ বেশ কয়েকজন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি হেগ-এ যাচ্ছেন। এ শুনানিতে বাংলাদেশ কোনো পক্ষ না হলেও বেশ প্রস্তুতি নিয়েই যাচ্ছেন প্রতিনিধিরা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বার্তা২৪.কম’কে এ তথ্য জানিয়েছেন।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মাসুদ বিন মোমেনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল রোহিঙ্গা গণহত্যার মামলার শুনানিতে অংশ নিতে নেদারল্যান্ডসের হেগ-এ যাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, বেশ কয়েকজন মানবাধিকারকর্মী সেখানে উপস্থিত থাকবেন।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া ১১ নভেম্বর আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে মামলা করে। মিয়ানমার গণহত্যা, ধর্ষণ এবং সম্প্রদায় ধ্বংসের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের একটি দল হিসাবে ধ্বংস করার উদ্দেশে ‘গণহত্যামূলক কাজ’ করেছে বলে অভিযোগ করেছে মামলায়।
গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলার শুনানির জন্য ১০ ডিসেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রথম ধাপে ১০ ডিসেম্বর শুনানি করবে গাম্বিয়া। আর ১১ ডিসেম্বর শুনানি করবে মিয়ানমার।
মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চি আগামী ১০ ডিসেম্বর নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে যাচ্ছেন বলে নিশ্চিত করেছেন তার দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) জ্যেষ্ঠ মুখপাত্র মিও নায়ান্ত। রোহিঙ্গা গণহত্যা, অত্যাচার ও ধর্ষণের অভিযোগে গত নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলার শুনানিতে সেখানে নিজের দেশের হয়ে লড়বেন সুচি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক এবং সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হকও হেগ-এ আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে উপস্থিত থাকবেন।
দুইজনই রোহিঙ্গা ইস্যুতে গত দু বছর ধরে বেশ কিছু গবেষণা ও তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছেন যা হেগে আন্তর্জাতিক আদালত চাইলে তা তারা হাজির করবেন।