পৌষের শুরুতেই রাজধানীসহ সারা দেশে জেঁকে বসেছে হাড় কাঁপানো শীত। এছাড়া গত কয়েকদিন ধরে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বয়ে গেছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এ সময় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি থেকে ৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে।
বর্তমানে সারা দিনেও দেখা মিলছে না সূর্যের। ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতেও যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। কৃষকরা মাঠে কাজ করতে বের হতে পারছেন না। ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতে জন-জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ফরিদপুরে। সেখানে তাপমাত্রা ছিল ১০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে ২৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল চুয়াডাঙ্গায় ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ২৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে, আগামী রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে সূর্যের দেখা মিলতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে তাপমাত্রা। কুয়াশা থাকলেও কমতে থাকবে শীতের প্রকোপ। তবে আগামী ২৫ ডিসেম্বর খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বড়দিনে বা পরদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় তাপমাত্রা ফের কমতে পারে।
আরও পড়ুন: সূর্যের দেখা মিলবে রোববার, কমতে পারে শীত
শনিবার রাতে আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘রোববার থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে থাকবে। শীতের প্রকোপও কমবে। তবে দেশের বিভিন্ন জেলায় ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী ২৫ অথবা ২৬ ডিসেম্বর দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। এরপর আবার ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়তে পারে। এছাড়া জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নতুন করে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। সে সময় তাপমাত্রাও অনেকটা হ্রাস পেতে পারে।’
শনিবার সন্ধ্যায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং আগামী ১২০ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়া ঢাকায় বাতাসের গতি উত্তর/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬-১২ কিলোমিটার বেগে বয়ে যেতে পারে।