শৈত্যপ্রবাহ হালকা হয়ে যাওয়ায় সারাদেশে হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা অনেকাংশেই কমে যাচ্ছে। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এর ফলে দেখা মিলতে পারে সূর্যের। তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। তবে বুধবার থেকে শঙ্কা রয়েছে বৃষ্টির। বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কমে দুর্ভোগ সৃষ্টি হতে পারে।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। তবে সূর্যের আলো দেখা যেতে পারে।
রাজশাহী, পাবনা, যশোর, তেতুঁলিয়া ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চল সমূহের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তা কিছু এলাকায় অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
আগামীকাল ঢাকায় সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৫টা ১৭মিনিটে, সূর্যোদয় ভোর ৬টা ৩৮ মিনিটে। রোববার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বোচ্চ টেকনাফে ২৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত শনিবার ফরিদপুরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। গত শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায়।
আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আগামী ২৫ অথবা ২৬ ডিসেম্বর দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। এরপর আবার ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়তে পারে। এছাড়া জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নতুন করে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। সে সময় তাপমাত্রাও অনেকটা হ্রাস পেতে পারে।