জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেছেন, বরিশালের কীর্তনখোলা নদীসহ জেলার প্রায় ২০টি নদ-নদীর দুই পাশ, তীরবর্তী ও চর এলাকাসহ নদীর নিজস্ব জমি দখল দিয়ে স্থাপনা তৈরি করে ভোগ করছে ২ হাজার ২৬৮ জন দখলদাররা। এসব স্থানে বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করেই ভোগ দখল করছে তারা।
তিনি বলেন, এই নদী জনগণের সম্পদ। উচ্চ আদালতের আদেশ অনুসারে, নদী দখল ক্রিমিনাল অফেনস (ফৌজদারি অপরাধ)। তাই যারাই নদী দখল করবেন, তারা যতই ক্ষমতাধর হোক না কেন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভাকক্ষে জেলা নদী রক্ষা কমিটির সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মুজিবুর রহমান বলেন, নদীর জমি সিএস পর্চা অনুয়ায়ী উদ্ধার ও দখলমুক্ত করা হবে। উচ্ছেদ অভিযানে প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশ, বর্ডার গার্ড, র্যাবসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সহযোগিতা করবে। প্রয়োজনে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক সেনাবাহিনী ব্যবহার করে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে পারবে।
কীর্তনখোলা নদী এলাকায় দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযান কবে পরিচালনা করা হবে-এমন প্রশ্নের জবাবে বরিশালের জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান বলেন, যারা নদীর নিজস্ব জমি দখল করে স্থাপনা তৈরি করছে তাদের বিরুদ্ধে সারা বছরই অভিযান চলমান রয়েছে। তবে নদীর সিএস পর্চা অনুয়ায়ী বিআইডব্লিউটিএ নদীর সীমানা নির্ধারণ করা পর চূড়ান্তভাবে দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করবে জেলা প্রশাসন।
সভায় জানানো হয়, বরিশাল সদর উপজেলায় ২৭৪ জন, আগৈলঝাড়ায় এক হাজার ১১৯ জন, গৌরনদীতে ২৭৩ জন, উজিরপুরে ৭০ জন, বানারীপাড়ায় ৮৮ জন, বাবুগঞ্জে ৫৬ জন, মুলাদীতে ১০৯ জন, হিজলায় ২১ জন, মেহেন্দিগঞ্জে ৭৩ জন ও বাকেরগঞ্জে ১৮৫ জন জেলার নদীগুলোর জায়গা দখল করে রেখেছে।
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. আলাউদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশরাফুল আফসারছাড়াও পরিবেশ কর্মীরা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।