গত কয়েকদিন ধরে দেশের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এর ফলে সূর্যের দেখা তেমন একটা মিলছে না। দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা পঞ্চগড়, রংপুর, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, নীলফামারীসহ বেশ কয়েকটি জেলায় শীত বেশ দাপট দেখাচ্ছে। তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় জনজীবন অনেকটাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
ফরিদপুর, মাদারীপুর, কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলসহ খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি কিংবা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
টাঙ্গাইল ও কুষ্টিয়া অঞ্চলসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দেশের অন্যত্র প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গায় গুঁড়ি-গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চট্টগ্রামে ২৫ ডিগ্রি। এছাড়া সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ে ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামীকাল ঢাকায় সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৫টা ১৯ মিনিটে এবং সূর্যোদয় ভোর ৬টা ৩৯ মিনিটে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, বৃষ্টি শুরু হলে তাপমাত্রা আরও কমে যেতে পারে। ঘন কুয়াশায় সূর্যের দেখা নাও পাওয়া যেতে পারে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নতুন করে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।