ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনের প্রচারে আচরণবিধি মানছেন না অনেক মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেও প্রার্থীরা তাদের পোস্টার-ব্যানার অপসারণ করেননি।
রিটার্নিং কর্মকর্তারা বলছেন, অভিযোগ প্রামাণিত হলে জরিমানা, কারাদণ্ড এমনকি মনোনয়ন বাতিল করা হবে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ইসির উপসচিব (নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখা) মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবকে পাঠানো চিঠিতে দুই সিটির নির্বাচনী এলাকার সকল প্রচারণা সামগ্রী ২৬ ডিসেম্বর রাত ১২টার আগে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
তবে নির্দেশনার পরও যাত্রাবাড়ি, গুলিস্তান, মতিঝিল, মিরপুর, মহাখালীসহ বিভিন্ন স্থানে প্রার্থীদের ব্যানার-পোস্টার দেখা গেছে। এসব প্রচার সামগ্রী অপসারণের কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে ডিএসসিসি’র রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, পোস্টার সরানোর জন্য সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ওয়ার্ডভিত্তিক দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হলে, তাকে আচরণবিধির বিষয়ে পর্যবেক্ষণে রেখে একের পর এক ব্যত্যয় করে গেলে নির্বাচন কমিশনে প্রার্থিতা বাতিলের অনুরোধ করব।
ডিএনসিসি’র রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল কাসেম বার্তা২৪.কমকে বলেন, শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) থেকে আমরা অভিযানে যাবো। যদি দেখি এ ধরনের প্রচার সামগ্রী রয়েছে তাহলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিধি লঙ্ঘন করলে ৬ মাসের কারাদণ্ড ও অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।
এর আগে গত ২৫ ডিসেম্বর এক চিঠিতে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা হিসেবে লাগানো সকল পোস্টার, লিফলেট ব্যানার বিলবোর্ড অপসারণের নির্দেশ দেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। নির্বাচনের ২১ দিন আগে থেকে প্রচারের বিধান থাকলেও অনেকে এখনই এই দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এজন্য এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়- সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষ হতে কোনো ব্যক্তি ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত তারিখের ২১ দিন পূর্বে অর্থাৎ প্রতীক বরাদ্দের পূর্বে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে পারবেন না উক্ত বিধিমালা অনুসারে কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি নির্বাচন পূর্ব সময়ে আচরণ বিধিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে ।
'এই ধরনের অপরাধের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে অনধিক ৬ মাসের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এমতাবস্থায় ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণামূলক কার্যক্রম অপসারণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হলো ।'