বাংলাদেশে মাদকের প্রবেশ ঠেকাতে আশ্বাস দিয়েও মিয়ানমার দৃশ্যমান কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমাদের দেশে মাদক উৎপাদন হয় না। চোরাচালানের রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়। মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে মাদক প্রবেশ করে। বাংলাদেশে মাদকের প্রবেশ ঠেকাতে আশ্বাস দিয়েও মিয়ানমার দৃশ্যমান কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না।
তিনি বলেন, দেশে নানা পথে মাদক ঢুকছে। মাদকের একটি অংশ পাচার হয়ে বিদেশে চলে যাচ্ছে। অবশিষ্ট মাদক দেশেই রয়ে যাচ্ছে। ইদানীংকালে মাদক চোরাচালানে নারীরাও যুক্ত হয়েছেন। আর শিশুদেরকে মাদক ব্যবসায়ীরা বাহক হিসেবে ব্যবহার করছে। যাতে করে নিরাপত্তা বাহিনীর নজর এড়িয়ে যায়। এগুলো আমরা লক্ষ্য করছি। কাজেই মাদক নির্মূলে সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সরকারি মাদক নিরাময় কেন্দ্র স্থাপনের পাশাপাশি বেসরকারি মাদক নিরাময় কেন্দ্রের উদ্যোগ গ্রহণ করছি। যাতে করে মাদকাসক্তিরা সুচিকিৎসা পান। ঢাকা কেন্দ্রীয় মাদক নিরাময় কেন্দ্র ও চারটি বিভাগীয় মাদক নিরাময় কেন্দ্রের মাধ্যমে ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৮ হাজারেরও বেশি মাদকাসক্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়াও বরিশাল ও সিলেটে ২৫ শয্যা মাদক নিরাময় কেন্দ্র স্থাপনের প্রশাসনিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই নিরাময় কেন্দ্র দুটির কার্যক্রম চালু করা হবে। এবছর পঞ্চাশটি বেসরকারি মাদক নিরাময় কেন্দ্রের লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে ৩২৪টি বেসরকারি মাদক নিরাময় কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রায় ১৪ হাজার মাদক সেবনকারীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে।