আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা ৩৮ মিনিটে তাকে মিরপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়। তার মৃত্যুতে আওয়ামী লীগ ও রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের আবহ বিরাজ করছে।
বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় বাপ্পীর কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শেষ শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী এ সময় তার কফিনের পাশে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
পরে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে সভাপতি শেখ হাসিনা দলের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী এরপর মরহুমার পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন ও তাদের প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি বাপ্পীর রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের পক্ষ থেকে তাঁর সামরিক সচিব অ্যাডভোকেট বাপ্পীর কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে জাতীয় সংসদ স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী ও ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া মরহুমার কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম রওশন এরশাদের পক্ষ থেকে জাতীয় পার্টির আইনজীবী ফখরুল ইমাম বাপ্পীর কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এর আগে, জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অ্যাডভোকেট বাপ্পীর জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। মন্ত্রীবর্গ, ডেপুটি স্পিকার, পার্লামেন্ট সদস্যবৃন্দ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ জানাজায় অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় মরহুমার রুহের মাগফিরাত করে মোনাজাত ও দোয়া করা হয়।
অ্যাডভোকেট বাপ্পী নবম ও দশম সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনে এমপি নির্বাচিত হন।
তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)’র প্রসিকিউটর এবং সুপ্রিম কোর্টের অ্যাসিস্টেন্ট অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন।
গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। চারদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর বাপ্পী (৪৯) বৃহস্পতিবার সকাল আটটার দিকে মারা যান।