আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইটিইউ) তৃতীয় বারের মতো সদস্য হতে বাংলাদেশ তার মনোনয়ন ঘোষণা করেছে এবং সদস্য হতে আন্তর্জাতিক সমর্থন চেয়েছে।
রোববার (২২ জুলাই) রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক সভায় পররাষ্ট্র মন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী এ মনোনয়নেরর বিষয়টি ঘোষণা করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
২৯ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই-এ আইটিইউ এর সম্মেলনে এর সদস্য নির্বাচনে ভোট হবে।
এ সভাটি আয়োজন করেছে পররাষ্ট্র ও আইসিটি মন্ত্রণালয় যৌথভাবে। এ সভায় সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা ছাড়াও ঢাকাস্থ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
টানা দুইবার জয়ের পর তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থীতা দাখিল করেছে বাংলাদেশ। এর আগে ২০১০ সালে মেক্সিকোতে এবং ২০১৪ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার নির্বাচনে ভালো অবস্থানে থেকে জয়লাভ করে বাংলাদেশ। দুই বারই প্রতিবেশী অনেক দেশকে পেছনে ফেলে জয় আসে।
ফলে আইটিইউর নীতি নির্ধারণী কার্যক্রমে অংশ নিতে পেরেছে বাংলাদেশ। আগেরবার শক্তিধর প্রতিপক্ষ দেশগুলোর সঙ্গে লড়াই করে জয় পায়। নির্বাচনে ১১৫ ভোট পেয়ে সপ্তম স্থান পায়। তখন নির্বাচনে মোট ১৬৭টি সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধি ভোট দেন। ২০১০ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশ এশিয়ার এ অঞ্চলে ১৩টি পদের বিপরীতে ১৭ দেশের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে ১২৩ ভোট পেয়ে ষষ্ঠ হয়েছিল। এর আগে ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ আইটিইউ এর সাধারণ সদস্যপদ পায়।
নির্বাচনে আইটিইউ‘র সদস্য দেশগুলোর সবাই ভোটাধিকার পান। যেখানে একেক অঞ্চলের জন্যে আলাদা-আলাদা প্রতিনিধি নির্বাচন করা হয়। তবে নির্বাচনে মূলত অাফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গেই বাংলাদেশের ভালো যোগাযোগ। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখেই এবারও নেটওয়ার্কিং চলছে বলে জানা গেছে।
দুবাইতে এবারের নির্বাচন এবং কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। ওই কাউন্সিলেই আইটিইউর নতুন মহাসচিব নির্বাচন এবং পরের চার বছরের কর্মসূচী পাস হবে। এবার নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে ইতিমধ্যে সরকার কাজ শুরু করেছে বলে জানে গেছে। এর মধ্যে নিজেরা একটি ফোকাল পয়েন্ট গঠন করেছে। ফোকাল পয়েন্ট থেকে বেশ কয়েকটি বৈঠকও করা হয়েছে।তাছাড়া দেশে বিদেশে নানা অনুষ্ঠানে এর প্রচার চালানো হচ্ছে বলে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।