মিঠা পানির ব্যবস্থা, রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ বাতিল, অপরিকল্পিত গাছ কাটা বন্ধসহ সুন্দরবন সুরক্ষায় ৯ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), গ্রীন ভয়েস ও সুন্দরবন রক্ষা কমিটি।
শুক্রবার বিকেলে (১৪ ফেব্রুয়ারি) সুন্দরবন দিবস উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক নাগরিক সমাবেশ সংগঠনগুলো এসব দাবিগুলো উপস্থাপন করেন।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- বাপার সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল, গ্রীন ভয়েসের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আলমগীর কবির, বাপার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির সুমন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণে ১৯৯২ সালে সুন্দরবন জাতিসংঘের 'রামসার সাইট' ও ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো মনোনীত অন্যতম 'বিশ্ব ঐতিহ্য' মর্যাদা লাভ করেছে। কিন্তু পরিবেশ বিধ্বংসী সিদ্ধান্তের কারণে আমরা তা হারানোর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছি।
নাগরিক সমাবেশে বাপা সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, ‘সুন্দরবন আমাদের মায়ের মতো, সুন্দরবন না বাঁচলে আমরা বাঁচব না, আমাদের দেশ বাঁচবে না। সুন্দরবন একটি বিশ্ব ঐতিহ্য, গাছ লাগিয়ে সুন্দরবন তৈরি করা যায় না, এটি বাংলাদেশকেই টিকিয়ে রাখে।’
নয় দফা দাবিগুলো হলো- বন্ধু রাষ্ট্রের সঙ্গে সফল আলোচনার মাধ্যমে সুন্দরবনের জন্য মিঠা পানির সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে, রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ বাতিল করতে হবে, সুন্দরবনের পার্শ্ববর্তী বা অভ্যন্তরের নির্মাণাধীন ও পরিকল্পিত সরকারি-বেসরকারি সব প্রকল্প ও স্থাপনা নির্মাণ অবিলম্বে বাতিল ও অপসারণ করতে হবে, বনের পাশ ঘেঁষে বরাদ্দকৃত সকল শিল্প ও আবাসন প্লট বাতিল করতে হবে, অপরিকল্পিতভাবে গাছকাটা পশু-পাখী হত্যা ও মাছ ধরা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে, বনের গাছে অগ্নি সংযোগ এবং বিষ প্রয়োগে জলজ প্রাণী ও মাছ হত্যা কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। এছাড়া সুন্দরবনের মধ্যকার নৌ-চলাচল হ্রাস নৌ-দুর্ঘটনা প্রশমন ও নদীর তলায় ডুবে থাকা নৌ-যান অপসারণ করতে হবে, সুন্দরবনে পর্যটক সংখ্যা সীমিত করতে হবে, জলাধার দূষণ ও চিংড়ি চাষ বন্ধসহ সকল পোল্ডার অপসারণ করতে হবে, সুন্দরবন-নির্ভর দরিদ্র ও ভাসমান জনগোষ্ঠীর জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিক শিক্ষা ও প্রয়োজনীয় ভিন্ন প্রকৃতির জীবিকার ব্যবস্থা করতে হবে, বন বিভাগের জনবল বৃদ্ধি ও তাদের কাজের পরিধি একাগ্রতা সক্ষমতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।