রাজশাহী জেলাজুড়ে সুপেয় পানির সরবরাহ নিশ্চিতে ৪ হাজার ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট বসানো হচ্ছে। জেলার গোদাগাড়ী উপজেলায় পদ্মা নদীর পাড়সংলগ্ন এলাকায় প্লান্টটি স্থাপন করা হয়। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া।
প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পদ্মা নদী থেকে উত্তোলিত পানি পরিশোধন করে পাইপের মাধ্যমে রাজশাহী মহানগরীতে সরবরাহ করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতা চেয়েছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলাল উদ্দিন আহম্মেদ।
শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) তিনি নির্মাণাধীন ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট এলাকা পরিদর্শন শেষে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ সহযোগিতা চান।
সচিব হেলাল উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘পদ্মা নদীর পানি খুবই উন্নত। এই পানি তুলে পরিশোধনের মাধ্যমে সাপ্লাই ছাড়াও অনেক কাজে লাগানো যাবে। একই সঙ্গে ওয়াটার প্লান্ট হলে এখানকার রাস্তাঘাট ও অবকাঠামো উন্নয়ন করা হবে। স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। ফলে সাময়িক সমস্যায় কেউ ক্ষুব্ধ হবেন না। যাদের ঘর-বাড়ি ও জমি প্লান্ট এলাকায় পড়েছে, তাদেরকে আমরা পুনর্বাসন করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘অধিগ্রহণের টাকা আমি জেলা প্রশাসনের কাছে জমা দিয়ে রাখতে বলেছি। জেলা প্রশাসন অধিগ্রহণকৃত জমির মালিকদের কাগজ-পত্র দেখে দ্রুত টাকা পরিশোধ করবে। যাদের ঘর-বাড়ি ও জমি আমরা নিচ্ছি, তাদেরকে প্রচলিত বাজার মূল্যের চেয়ে তিনগুণ বেশি টাকা দিচ্ছি। প্রত্যেকে সেই টাকা পাবে এই নিশ্চয়তা আমি দিচ্ছি।’
গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী ওয়াসার অতিরিক্ত সচিব সুলতান আহম্মেদ, জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক, গোদাগাড়ী পৌর মেয়র মনিরুল ইসলাম বাবু প্রমুখ।