গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অর্ধশত ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। উপড়ে গেছে গাছপালা। একই সঙ্গে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বুধবার (২৭ মে) সাদুল্লাপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় বিধ্বস্ত ঘরবাড়ির আঙ্গিনায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের আহাজারি।
গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নসহ বেশ কিছু ইউনিয়নের উপর দিয়ে কালবৈশাখীর দমকা হাওয়া বয়ে যায়। একই সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে উড়ে গেছে টিনসেড ঘরবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গাছপালা। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পাকা বোরো ধানের।
বিশেষ করে ভাগ্রাম ইউনিয়নের গঙ্গানারায়ণপুর (গাছুপাড়া) গ্রামের প্রায় ২০ বাড়ি ভেঙে গেছে। এতে বেশ কিছু লোক আহতও হয়েছেন। এসব পরিবারের মানুষরা খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। নতুন করে কীভাবে নির্মাণ করবেন ঘরবাড়ি এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা।
গঙ্গানারায়ণপুর (গাছুপাড়া) গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুস ছাত্তার মিয়া বলেন, ‘কালবৈশাখী ঝড়ে বাড়ির সবকটি ঘরে ভেঙে গেছে। এতে প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার মালামাল ক্ষয়ক্ষতি হয়। এখন পরিবার নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করতে হচ্ছে।’
কৃষক লতিফুল ইসলাম জানায় দমকা হাওয়ার সঙ্গে শিলাবৃষ্টিতে ক্ষেতের পাকা বোরো ধানের গাছগুলো হেলে পড়ে পানির নিচে চলে গেছে। এতে করে ফসল ঘরে তোলা
অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
ভাতগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান এটিএম রেজানুল ইসলাম বাবু বার্তা২৪.কম-কে জানান, বুধবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। তাদের সহযোগিতার চেষ্টা করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ক্ষতির শিকার মানুষরা আবেদন করলে, তাদের সহায়তা করা হবে বলে জানিয়েছেন সাদুল্লাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাহারিয়ার খান বিপ্লব।
সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নবী নেওয়াজের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।