ঢাকাঃ বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের সময় কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ৪২ শিক্ষার্থীকে একে একে জামিন দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৯ আগস্ট) পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে রাজধানীর ৯টি থানার দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ৪২ জন শিক্ষার্থীকে ঢাকা মহানগরের পৃথক পৃথক হামিক আদালতের বিচারক এ জামিন দেন।
জামিন পাওয়া আসামিরা হলেন- বাড্ডা থানার জামিন প্রাপ্ত ১২ জন শিক্ষার্থীরা হলেন -নূর মোহম্মদ, আজিজুল হক, মো. হাছান, দোয়ান আহম্মেদ, তরিকুল ইসলাম, রেজা রিফাত আখলাক, এ এইচ এম খালেদ রেজা, রাশেদুল ইসলাম, মুশফিকুর রহমান, ইফতেখার আহমেদ ও জাহিদুল হক।
ভাটারা থানার জামিন প্রাপ্ত ৬ জন শিক্ষার্থীরা হলেন- সাখাওয়াত হোসেন নিঝুম, শিহাব শাহরিয়ার, আজিজুল করিম অন্তর, মাসহাদ মুর্তজা আহাদ, মেহেদী হাছান, ফয়েজ আহমেদ।
ধানমন্ডি থানার জামিন প্রাপ্ত ৯ জন শিক্ষার্থীরা হলেন,- সোহাদ খান, মাসরিকুল ইসলাম, তমাল সামাদ, মাহমুদুর রহমান, ওমর সিয়াম, মাহাবুবুর রহমান, ইকবাল হোসেন, নাইমুর রহমান ও মিনহাজুল ইসলাম।
উত্তরা পশ্চিম থানার জামিন প্রাপ্ত ৩ জন শিক্ষার্থীরা হলেন,- মাহবুব খান রবিন,তোফায়েল,আশিক।
কোতয়ালী থানার জামিন প্রাপ্ত ৩ জন শিক্ষার্থীরা হলেন,-মেহেদী, জাহিদুল, দুলাল,
নিইমার্কেট থানার জামিন প্রাপ্ত ৩ জন শিক্ষার্থীরা হলেন,-আজিজুর, আমিন, নূর আলম।
শাহবাগ থানার জামিন প্রাপ্ত ২ জন শিক্ষার্থীরা হলেন,-আবু বকর সিদ্দিক, রিয়াজুল হক।
রমনা থানার জামিন প্রাপ্ত ৩ জন শিক্ষার্থীরা হলেন,-আরমানুল হক,খাইরুল আলম দিপু, দাইয়ান নাফিজ এবং পল্টন থানার জামিন প্রাপ্ত ১ জন শিক্ষার্থী হলেন,- সাইফুল ওয়াদুদ।
সংশ্লিষ্ট থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তাগন (জিআরও) সাবাংদিকদের এসব তথ্য জানান।
প্রসঙ্গ, গত ২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে এমইএস বাস স্ট্যান্ডে জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। একই ঘটনায় আহত হয় ১০-১৫ জন শিক্ষার্থী। ওই ঘটনায় শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল করিম রাজিব মারা যায়। সেই সময় নিরাপদ সড়কের দাবীতে আন্দোলনের সময় বিভিন্ন যায়গায় থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।