হত্যার পর বেতঝাড়ে লুকিয়ে রাখে জাকিরুলের মরদেহ, গ্রেফতার ৩

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী | 2023-09-01 17:47:49

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার জাকিরুল ইসলাম (২৫) ওরফে বাচ্চাবাউ হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অটোরিকশাচালক মো. রাশেদসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বুধবার (৪ জুন) বিকেলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) এ বি এম আতিকুর রহমান বার্তা২৪.কমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গত ৭ মে সন্ধ্যার পর থেকে ডোমার উপজেলার চিকনমাটি ভাটিয়াপাড়া এলাকার আব্দুল গনির ছেলে মো. জাকিরুল ইসলাম নিখোঁজ হয়। পরে ১০ মে সকালে উপজেলার বোড়াগাড়ী এলাকার নালার খামারের আগাছা যুক্ত জমি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি সূত্রহীন ছিল। কিন্তু মরদেহের অবস্থান ও অপরাধ চিত্র পর্যালোচনা করে ধারণা করা হয়, জাকিরুলকে অন্যস্থানে হত্যা করা হয়েছে। পরে নিহতের গতিবিধি পর্যলোচনা ওই এলাকায় চলাচলকরা প্রায় দুই শতাধিক যানবাহনের মালিক ও চালকদের জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে জানা যায়, উপজেলার ছোট রউতা গ্রামের অটোরিকশা চালক মো. রাশেদ গত ৭ মে থেকে অটোরিকশা চালানো থেকে বিরত থাকছেন।

সন্দেহভাজন ওই অটোচালকে আটকের পর জানা যায়, ৭ মে রাত ১০টার সময় ডোমার ছোট রাউতা এলাকার কমল, নিখিল ও রওশনের সাথে একজন নারী ঘটিত বিষয়ে জাকিরুলের তর্ক-বিতর্ক হয়। এছাড়াও ইতোপূর্বে জাকিরুলের সাথে নিখিলের পরিবারের গরু চুরিকে কেন্দ্র করে বিরোধ ছিল। তর্ক বিতর্কের একপর্যায়ে কমল, নিখিল ও রওশন তিনজন মিলে জাকিরুলকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

প্রথমে তারা জাকিরুলের মরদেহ ছোট রউতা গ্রামের আদর্শ প্রাইমারী স্কুলের পিছনের বেতঝাড়ে বেত পাতা দিয়ে ঢেকে রাখে। পরে নিজেদের আড়াল করতে, ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য ৯ মে রাতে মরদেহটিকে রাশেদের অটোরিকশা যোগে বোড়াগাড়ী নালার খামার এলাকায় এনে ফেলে রাখে।

এই ঘটনায় নিহতের মরদেহ পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত অটোরিকশাসহ চালক রাশেদ, ছোট রাউতা গ্রামের আন্দরু বর্মনের ছেলে কমল ও একই এলাকার তরুলক্ষ কর্মকারের ছেলে রওশনকে পাশ্ববর্তী জেলা পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। অপর আসামি নিখিল এখনও পালাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর