লিবিয়াতে শারীরিক নির্যাতন, দেশে ভিটা বাড়ি বিক্রি!

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-23 01:13:45

লিবিয়ায় পাচার করে ভিকটিমদের লিবিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পে আটক রেখে অমানুষিক শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করা হত। পরবর্তীতে নির্যাতিত ভিকটিমদের কান্নাকাটি, অডিও পাঠিয়ে অথবা সরাসরি মোবাইলে কথা বলিয়ে দেশে অবস্থানরত পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে টাকা দাবি করে মানবপাচারকারীরা।

সোমবার (৮ জুন) ডিএমপি'র মিডিয়া সেন্টারে এ বিষয়ে ব্রিফিংকালে মানব পাচারের ঘটনায় গ্রেফতার ছয়জনের সম্পর্কে এসব কথা বলেন ডিবি'র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আবদুল বাতেন।

তিনি বলেন, লিবিয়ার বিভিন্ন এস্টেটে কাজ ও লিবিয়া হতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশি দালালরা অন এ্যারাইভাল ও ভিজিট ভিসার মাধ্যমে লোকজনকে লিবিয়ায় পাচার করে। সেখানে অত্যাচার করে। পরবর্তীতে ভিকটিমদের বাঁচাতে তার আত্মীয়-স্বজন কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভিটা-বাড়ি বিক্রি করে টাকা পাঠায়।

আব্দুল বাতেন বলেন, লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশি হত্যা ও মানব পাচারের ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো -বাদশা মিয়া, জাহাঙ্গীর মিয়া, আকবর আলী, সুজন, নাজমুল হাসান ও লিয়াকত শেখ ওরফে লিপু। এ সময় তাদের হেফাজত হতে চারটি পাসপোর্ট, দুইটি মোবাইল ফোন ও টাকার হিসাব সম্বলিত দুইটি নোট বুক উদ্ধার করা হয়।

গত ৭ জুন গোয়েন্দা বিভাগের একাধিক টিম রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করে।

তিনি আরো জানান, নিহত মাদারীপুরের ৭ জনকে বাংলাদেশ হতে লিবিয়াতে আমির হোসেনের কাছে পাচার করেছিল তার ভাই গ্রেফতারকৃত আকবর হোসেন। গ্রেফতারকৃত বাদশা মিয়া ১৩ বছর যাবৎ লিবিয়াতে অবস্থান করে। লিবিয়ার বেনগাজী , জোয়ারা শহরে তার নিজস্ব ক্যাম্প আছে। সমগ্র বাংলাদেশ থেকে সে নিয়মিত লিবিয়াতে মানব পাচার করে, পাচারকৃত বাংলাদেশিদেরকে তার ক্যাম্পে আটক রেখে ইতালিতে সমুদ্রপথে মানুষ পাঠানোর গেমব্লিং করে। মাদারীপুরের নিহতদের মধ্যে ৪ জনকে তার ক্যাম্পে আটক রেখে ত্রিপলিতে পাচার করার এক পর্যায়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর