যশোরে করোনাকালে শিক্ষার্থীদের মেস ভাড়া পূর্বঘোষিত ৬০ ভাগ মওকুফের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে তিনটি ছাত্র সংগঠন । বুধবার (১০ জুন) এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করেছে। ফলে একদিকে জনজীবন স্বাস্থ্যঝুঁকিতে অন্যদিকে অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয়েছে। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনও চরম অনিশ্চিয়তার মধ্যে পড়েছে। গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। এখনও ঠিক কতদিন পর খুলবে সেটি নিশ্চিত নয়। উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পর্যাপ্ত আবাসিক ব্যবস্থা না থাকায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী মেস ভাড়া করে থাকতে হয়। যেহেতু শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ গ্রামের কৃষক ঘরের সন্তান। তাই এদের মেস খরচ বাড়ি থেকে দিতে না পারায় টিউশনি করে মেটাতে হয়। কিন্তু মার্চ মাস থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং লকডাউন ঘোষণা করায় শিক্ষার্থীরা মেস ছেড়ে বাড়িতে যেতে বাধ্য হয়েছে। তাদের আয়ের উৎস টিউশনিও বন্ধ হয়ে যায়। সেই সাথে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে কৃষি, বাড়িঘর, গাছপালা লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। গত ৪ মে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসনের সভায় মেস মালিক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে মেস ভাড়া ৬০ শতাংশ মওকুফের ঘোষণা দেওয়া হয়। আমরা সেই সিদ্ধান্ত মেনে নেই। কিন্তু গত ৩০ মে বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারলাম ৬০ ভাগের পরিবর্তে ২৫ ভাগ মওকুফ করা হয়েছে। কিন্তু ওই সভায় কোনো ছাত্র প্রতিনিধি ছিল না। ২৫ ভাগ মওকুফের সিদ্ধান্ত খুবই অযৌক্তিক, অমানবিক বলে আমরা মনে করি। অবিলম্বে মেস ভাড়া ৬০ ভাগ মওকুফের সিদ্ধান্ত কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জেলা শাখার সভাপতি উজ্জ্বল বিশ্বাস, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী জেলা শাখার সভাপতি কৌশিক রায় ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন জেলা শাখার সম্পাদক অনুপম আইচ।