তালাকপ্রাপ্ত স্বামীর সাথে মোবাইলে কথা বলার কারণে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রাজিয়াকে হত্যা করেছেন বলে জবানবন্দিতে আদালতকে জানিয়েছেন স্বামী শহিদ বিশ্বাস। বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) যশোর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল ইসলাম জবানবন্দি গহণ শেষে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন। আসামি শহিদ বিশ্বাস যশোর সদরের পাগলাদহ গ্রামের মোজাহার বিশ্বাসের ছেলে ও জহুরপুর মেসার্স লস্কর ব্রিকসের শ্রমিক। গত ১৬ জুন ভোররাতে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার খাজুরার জহুরপুরে ইটভাটার শ্রমিক নিহত রাজিয়া খাতুন।
আসামি শহিদ বিশ্বাস জানিয়েছেন, তিনি ওয়েলডিং শপে কাজ করতেন। এর আগে শহিদ বিশ্বাসের স্ত্রী-সন্তান আছে। বেশ কয়েক মাস আগে ঝিকরগাছা উপজেলার গৃহবধূ ইটভাটা শ্রমিক রাজিয়ার সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তিন মাস আগে সে রাজিয়াকে বিয়ের পর জহুরপুর মেসার্স লস্কার ইট ভাটায় তারা দুইজন কাজ নিয়ে সেখানে থাকতেন। কিছুদিন যেতে না যেতেই রাজিয়া তার সাবেক স্বামীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলা শুরু করেন। শহিদ বিশ্বাস বিষয়টি সে জানতে পেরে সাবেক স্বামীর সাথে কথা বলতে নিষেধ করেন রাজিয়াকে। তাদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়।
গত ১৫ জুন রাত ১০টার দিকে রাজিয়া মোবাইল ফোনে তার সাবেক স্বামীর সাথে কথা বলার বিষয় শহিদ বুঝে ফেলেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে রাতে শহিদ তাকে মারপিট করেন। এরপর রাজিয়া বটি দিয়ে শহিদকে কয়েকটি কোপ দেয়। গভীর রাতে রাজিয়া আবারও তার সাবেক স্বামীর সাথে মোবাইলে কথা বলছিলেন; এ সময় শহিদ বুঝতে পেরে বাঁশের লাঠি দিয়ে রাজিয়াকে বেদম মরপিট করেন। রাজিয়া ঘরের বাইরে একটি গাছে গোড়ায় বসে ছিলেন। কিছু সময় পরে গিয়ে দেখেন রাজিয়া মারা গেছেন।
এ দিকে রাজিয়াকে হত্যার অভিযোগে তার পিতা মণিরামপুরের রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা জালাল মোড়ল বাদী হয়ে বাঘারপাড়া থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে হত্যা মামলা করেন। পুলিশ নিহতের স্বামী শহিদকে আটকের পর বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করে। আদালতে স্ত্রী রিজিয়াকে হত্যার কথা স্বীকার করে ওই জবানবন্দি দিয়েছেন শহিদ।