সম্প্রতি বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি বাড়লেও খোলা বাজারে কোনোভাবে দাম কমছে না। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা।
মূলত ভারত থেকে আমদানিকৃত প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১৭ টাকা। এই পেঁয়াজ পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে ১৮ টাকা করে। আর খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে তা বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা করে। কিন্তু এই খুচরা ব্যবসায়ীরা তা ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করছে ৩০ টাকা দরে। এই হাত বদলে প্রতি কেজি পেঁয়াজে দাম বেড়েছে ১৩ টাকা।
রোববার (২১ জুন) দুপুরে সরেজমিনে বেনাপোল স্থলবন্দর এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
অভিযোগ রয়েছে, বাজার কমিটি বা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ না থাকায় খুচরা ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছে মতো দাম বাড়িয়েছেন।
জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের কারণে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রায় আড়াই মাস ধরে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। সপ্তাহখানেক ধরে এ বন্দরের রেল ও স্থলপথে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রবসহ পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। তবে আমদানি বাড়লেও খোলা বাজারে কোনোভাবে কমছে না পেঁয়াজের দাম।
পেঁয়াজ আমদানিকারক শেখ এন্টারপ্রাইজের মালিক মাহাবুব রহমান ডলার জানান, ১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ তারা ভারত থেকে ১৫৫ ডলার মূল্যে আমদানি করছেন। অন্যান্য খরচ রয়েছে। পাইকারদের কাছে তারা প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ১৮ টাকা।
খুরচা পেঁয়াজ বিক্রেতা শাহিন জানান, পেঁয়াজ কেনার পর কিছু নষ্ট হয় যায়। তাই তারা দাম একটু বেশি নিচ্ছেন।
সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, করোনার কারণে অনেকেরই কাজ নেই। এর মধ্যে এভাবে দাম বাড়লে তারা কীভাবে কিনবেন? এর সমাধানে দ্রুত বাজার কমিটি বা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন তারা।
বেনাপোল বন্দরের ট্রাফিক পরিদর্শক খোদা বক্স লিটন জানান, ২০ জুন ভারত থেকে ৬৪ ট্রাক খাদ্যদ্রব্য জাতীয় পণ্য আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে ৩৫ ট্রাক পেঁয়াজ ছিল।