রাজধানীর শ্যামবাজার ফরাসগঞ্জে বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবির ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত ৩২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, লঞ্চটিতে অর্ধশতাধিক যাত্রী ছিল। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লঞ্চে দেড়শরও বেশি যাত্রী ছিল।
ফায়ার সার্ভিসের সদরঘাট নদী ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি ইউনিট অনুসন্ধান কার্যক্রম চালাচ্ছে। বার্তা২৪.কমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম।
কোস্ট গার্ড সদর দফতরের মিডিয়া উইং এর কর্মকর্তা লেঃ কমান্ডার হায়াৎ ইবনে সিদ্দিক বার্তা২৪.কমকে জানান, এখন পর্যন্ত ৩২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচ জন নারী, ২৩ জন পুরুষ এবং ২ জন শিশু রয়েছে।
তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত সন্দেহ থাকবে এখনও মরদেহ থাকতে পারে, ততক্ষণ পর্যন্ত কোস্ট গার্ডের উদ্ধার অভিযান চলমান থাকবে।
জানা যায়, সোমবার (২৯ জুন) সকাল নয়টার দিকে ময়ুর-২ নামের একটি লঞ্চের ধাক্কায় কমপক্ষে ৫০ জন যাত্রী নিয়ে মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে যায়। কেরানীগঞ্জের একটি ডকইয়ার্ড থেকে মেরামত শেষে ময়ূর-২ নদীতে নামানোর সময় ওই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
এদিকে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন বার্তা২৪.কমকে জানান, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে কাজ চলছে। উদ্ধার তৎপরতা শেষে ফায়ার সার্ভিস আলাদা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবে।
ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে নৌবাহিনী,ফায়ার সার্ভিস ও নৌপুলিশ। এদিকে খবর পেয়ে উদ্ধার কাজে অংশ নিতে নারায়ণগঞ্জ থেকে বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ রওনা দিয়েছে বলে জানা গেছে।