সিলেট: ভ্রমণপিপাসুদের পদভারে মুখর সিলেট। জাফলং, বিছনাকান্দি, পাংথুমাই, মায়াবি ঝর্ণা, সোয়াম ফরেস্ট রাতারগুলসহ সবগুলো পর্যটন স্পটে এখন দর্শনার্থীদের ভিড়। তবে আনন্দ পেতে গিয়ে প্রচণ্ড দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। বিছনাকান্দির ভাঙাচোরা রাস্তায় পড়ে যানজটে নাকাল হচ্ছে তারা। পাংথুমাই ও জাফলংয়ের অবস্থা আরও করুণ।
সরেজমিনে বিভিন্ন স্পট ঘুরে দেখা গেছে, ভ্রমণপিপাসু দর্শনার্থীদের বহনকারী যানবাহনে বিছনাকান্দি রোডের বঙ্গবীর থেকে পীরেরবাজার পর্যন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এরই মধ্যে পাথরবাহী ট্রাক এসব গাড়ির ভেতরে ঢুকে যানজট যন্ত্রণাকে আরও তীব্র করে তুলে। এতে স্পটে যাওয়ার অনেক আগেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছে দর্শনার্থীরা। ঈদের পর দিন থেকে রোববার (২৬ আগস্ট) পর্যন্ত একই অবস্থা বিরাজমান।
পাংথুমাই ঝর্ণা দেখতে গিয়ে আরও বিপাকে পড়েন দর্শনার্থীরা। গোয়াইনঘাট কলেজ রোড থেকে হারকান্দি ও মাতুরতল পর্যন্ত রাস্তা ভেঙে গিয়ে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে এবার ঈদের ছুটিতে পাংথুমাই ঝর্ণায় দর্শনার্থী তুলনামূলক কম ছিল। আবার অনেকের গাড়ি নষ্ট হয়ে দুর্ভোগ পোহাতে দেখা গেছে।
নারায়ণগঞ্জ থেকে সপরিবারে বেড়াতে আসা সাইফুল ইসলাম জানান, এতো ভাঙা রাস্তা আছে জানা থাকলে পাংথুমাই আসতেন না।
জাফলং ঘুরে এসে চট্টগ্রামের নাহিদ আহমদ জানান, তার এক আত্মীয়ের আমন্ত্রণে সিলেট এসেছিলেন। এই সুযোগে পর্যটন স্পটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তিনি জানান, জাফলং যাওয়া যেকোনো সুস্থ মানুষের জন্যও কষ্টদায়ক। ভাঙাচোরা রাস্তা সুস্থ মানুষকে অসুস্থ করে ফেলছে। তিনি সরকারের প্রতি রাস্তা সংস্কারের জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন।
সিলেটের জেলা প্রশাসক নুমেরী জামান জানান, পর্যটকদের চাপ রয়েছে সিলেটে। সবাই গাড়ি নিয়ে ছুটছেন। এ জন্য কোথাও কোথাও যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙাচোরা রাস্তার জন্য সরকারের উচ্চ মহলে আলোচনা চলছে। কোনো কোনো রাস্তার টেন্ডার হয়ে গেছে। আবার কোথাও কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।