রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর শাখাতে ৪৫ লাখ টাকা ভাড়া বাকি রেখেছে প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. সাহেদ। পাওনা ভাড়া চাওয়া হলে বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দেওয়া হয় বলে র্যাবের কাছে অভিযোগ করেছেন ভবনটির মালিক ফিরোজ আলম চৌধুরী।
বুধবার (৮ জুলাই) বিকেলে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে একটি টিম হাসপাতালটিতে আবারো অভিযানে যান।
হাসপাতালটিতে কি কি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হতো সেসব বিষয়ে খোঁজ নেন এবং সবশেষে হাসপাতালটি সিলগালার বিষয়টি চূড়ান্ত করেন।
এ সময় ভবনের মালিক ফিরোজ আলম চৌধুরী বলেন, ২০১৬ সালের শুরুর দিকে রিজেন্ট হাসপাতাল মিরপুর শাখার জন্য এ ভবনটি ভাড়া নেন। একপ্রকার জোর করেই তিনি ভবনটিতে হাসপাতাল করেন। শুরু থেকেই ভাড়া নিয়ে অনিয়ম ছিল। ভাড়া চাইলে তিনি হুমকি-ধামকি দিতেন। এই ভাড়া উঠানোর জন্য আমি থানাতে ২০১৮ সালের ২০১৯ সালে দুটি জিডি করি। এক পর্যায়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠাই কিন্তু কোনোভাবেই ভাড়া উত্তোলন করা সম্ভব হচ্ছিল না। এখনো ৪৫ লাখ টাকা পাই।
এদিকে অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, মূলত তদন্তের অংশ হিসেবে আমরা হাসপাতালে আবার অভিযান পরিচালনা করছি। খুঁজে দেখার চেষ্টা করছি কোথায় কি ধরনের অনিয়ম ছিল তাদের। যাবার সময় সিলগালা করে যাবো।
এর আগে চুক্তি ভঙ্গ করে করোনা রোগীদের থেকে বিল আদায়, টেস্ট না করে ভুয়া সনদ দেওয়াসহ নানা অভিযোগে মঙ্গলবার (৭ জুলাই) একই অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা শাখায় অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেয় র্যাব।
প্রতারণার অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে এক নম্বর আসামি করে ১৭ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। আটজনকে আটক করা হয়েছে। সাহেদসহ নয়জন পলাতক রয়েছেন।
এদিকে র্যাব জানিয়েছে পলাতক সাহেদকে ধরতে এরই মধ্যে র্যাবের একাধিক টিম মাঠে নেমেছে। সাহেদ যাতে কোনো অবস্থায় দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে সেজন্য নেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন: রিজেন্টের মালিক সাহেদকে ধরতে অভিযান চলছে: র্যাব
অতঃপর রিজেন্ট হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের