শুধু গরু বেচতি মাস্ক পরতি হবে কেন?

, জাতীয়

মাজেদুল হক মানিক, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর | 2023-09-01 10:52:53

হাট বাজারে কুনো জায়গায় মাস্ক পরতি হয়না। গ্রামের দোকানগুলোতে মাস্ক না পরে আড্ডা চলছে। গাড়িতে উঠতি হলি মাস্ক না পরলিও হচ্ছে। তাহলে শুধু এই গরুর হাটে মাস্ক পরতি হবে কেন? স্বাস্থ্যবিধি মেনে গরু কেনাবেচনার প্রসঙ্গ তুলতেই উপরোক্ত কথাগুলো নিজের মতো করে বললেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মহিষকুণ্ডি চরের মধ্য বয়সী আফসার আলী।

শুক্রবার (৯ জুলাই) বিকেলে মেহেরপুর জেলার সবচেয়ে বড় পশু হাট বামন্দী-নিশিপুর পশু হাটে আফসার আলীর সাথে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। আফসার আলীর মতো বেশিরভাগ ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে ছিল না মাস্ক। প্রশাসন আর হাট ইজারাদারের নির্দেশনা মানছেন না বেশিরভাগ ক্রেতা-বিক্রেতা।

হাটে মাস্ক পরছেন না বিক্রেতারা 

হাট ঘুরে দেখা যায়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার তেমন কোনো বালাই নেই। অসংখ্য মানুষ গরু-ছাগল নিয়ে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে আছেন হাটের বিভিন্ন স্থানে। দৃশ্যটা এমন যেন করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্য সুরক্ষার চেয়ে গবাদিপশু কেনাবেচনার প্রয়োজন অনেক বেশি।

গরু কিনতে আসা শিমুলতলা গ্রামের মিজানুর রহমান জানান, ভিড় ও জনসমাগমের মাধ্যমে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে যেতে পারে। এটি যেমনি সত্য তেমনি বাস্তবতা হচ্ছে গরু বিক্রি করতে না পারলে ক্ষুদ্র খামারিরা পথে বসবেন। যেকোন ভাবেই ক্ষুদ্র খামারিদের গরু বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কীভাবে হাট পরিচালনা করা যায় সে বিষয়ে প্রশাসন ও হাট ইজারাদারদের আরো কঠোর হতে হবে।

হাট থেকে সংক্রমণ বাড়তে পারে

জানতে চাইলে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা কয়েকজন ব্যাপারী জানালেন, লকডাউনের কারণে অনেকদিন ধরে এ হাট বন্ধ ছিল। ফলে বেকার হয়ে পড়েছিলেন গরু-ছাগল কেনাবেচার সাথে জড়িত হাজার হাজার ক্ষুদ্র ব্যাপারী। হাট চালু হলে তারা আবারও স্বরূপে ফেরার চেষ্টা করছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাবেচনা করা কষ্টকর।

ঢাকার ব্যাপারী খবির উদ্দীন জানান, এখনও পুরোদমে কোরবানি পশুর হাট শুরু হয়নি। তবে অল্প সংখ্যক গরু কিনে ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। ঢাকার কোরবানির পশু হাট শুরু হলে এ হাটগুলোতে আরও ভিড় বাড়বে।

ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ নির্দেশনা মানছেন না

জানতে চাইলে বামন্দী-নিশিপুর পশু হাট ইজারাদার নাসির উদ্দীন বলেন, ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে। তবে গরুর ব্যাপারীরা কথা শোনে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে মাইকে বারবার নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। আগামী হাটের বার থেকে পুলিশের সহায়তায় হাটে প্রবেশের তিনটি দ্বারে মাস্ক পরিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাটে ঢোকানো হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর