কুড়িগ্রামে বানভাসিরা আশ্রয় নিচ্ছেন উঁচু বাঁধসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম | 2023-08-26 00:39:50

দ্বিতীয় দফায় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর বৃষ্টির পানিতে কুড়িগ্রামের সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তলিয়ে গেছে চর দ্বীপসহ নিম্নাঞ্চলের হাজার হাজার বাড়ি-ঘর। বানভাসি মানুষজন আশ্রয় নিতে শুরু করেছে উঁচু সড়ক ও স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন স্থানে।

সোমবার (১৩ জুলাই) বিকেলের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, জেলার সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে ৯৪ সেন্টিমিটার, তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ৬৩ সেন্টিমিটার ও চিলমারী পয়েন্টে ৬২ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, কুড়িগ্রামের বানভাসিদের ঘর-বাড়ি বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় তারা উঁচু পাকা সড়ক ও বাঁধে পলিথিনের ছাউনি ও টিনের ছাপড়াসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। ত্রাণ স্বল্পতার কারণে খাদ্য সংকটে পড়েছেন তারা। দীর্ঘ সময় পানিতে তলিয়ে থাকায় সম্পূর্ণ রূপে নষ্ট হয়ে গেছে এসব এলাকার বিভিন্ন ফসলসহ সবজি ক্ষেত।

খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে বানভাসিদের মাঝে

কুড়িগ্রাম-যাত্রাপুর সড়কে আশ্রয় নেওয়া কাশেম ও জয়নাল বলেন, আমাদের বাড়ি তলিয়ে গেছে। এখন ছেলে-মেয়ে ও হাস-মুরগি নিয়ে রাস্তায় আসছি। পানি না শুকানো পর্যন্ত এখানেই থাকতে হবে কোনো উপায় নাই।

এদিকে শুলকুর বাজারের ওয়াবদা বাঁধে আশ্রয় নেয়া ছপর উদ্দিন বলেন, ‘গত দু’দিন ধরে এ বাঁধে পলিথিনের ছাউনি করে পরিবারকে নিয়ে বসবাস করছি। সমস্যা হচ্ছে হাতে একটা টাকাও নাই যে খরচ করে খাব। দিনমজুরির কাজ করে আমার সংসার চলে। কিন্তু বন্যার কারণে তো কাজ করতে পারছি না। এক কথায় পরিবারকে নিয়ে খুব বিপদে আছি।’

পালিত পশু ও আসবাবপত্রও উঁচু সড়কে রাখা হয়েছে

কুড়িগ্রাম সদর পাঁচগাছী ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আজ ৭ হাজার লোককে দেয়ার জন্য চাল বরাদ্দ পেয়েছি। আগামীকাল ইউপি সদস্যদের নিয়ে বসে ভাগ করে দেয়ার পর, তা বিতরণ করা হবে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর