পশুবাহী গাড়ির চাপ বাড়ছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ফেরি স্বল্পতার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন গরু ব্যবসায়ীরা।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরির জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে তাদের। সময় মতো নদী পার হতে না পারলে ব্যবসায়ীদের অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে বলে জানান একাধিক ব্যবসায়ী।
শনিবার (২৬ জুলাই) দুপুরে দৌলতদিয়া জিরো পয়েন্টে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ঘাটের ৩ নং পল্টন থেকে দীর্ঘ সারি রয়েছে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে। এই সড়কে নদী পারের জন্য অপেক্ষা করছে প্রায় ৪ শতাধিক যানবাহন। এরমধ্যে পশুবাহী ট্রাক রয়েছে প্রায় দেড় শতাধিক।
এদিকে, তীব্র গরমের মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়িগুলো সড়কে অবস্থান করায় অনেক গরু অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ব্যবসায়ীরা হাত পাখা দিয়ে গরুগুলোকে বাতাস দিচ্ছে।
মাগুরা থেকে আসা গরু ব্যবসায়ী আক্কাস শেখ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘শুক্রবার রাত ৮টার দিকে ঘাট পার হওয়ার জন্য এসেছি। আর আজ এখন দুপুর ১২টায় ফেরির দেখা পেলাম। রাতেই যদি নদী পার হতে পারতাম তাহলে বেশ কয়েকটি গরু আজ বিক্রি হতো।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখা ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘ঘাটে পশুবাহী ট্রাকের চাপ বেড়েছে। তবে নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে ফেরিগুলো স্বাভাবিকভাবে চলতে পারছে না। একেকটি ফেরির নদী পার হতে ১ থেকে দেড় ঘণ্টা সময় লাগছে। যার কারণে ঘাটে এসে গরুর গাড়িগুলোকে একটু অপেক্ষা করতে হচ্ছে।’
বর্তমান দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বহরে ১৪টি ফেরি চলাচল করছে। এরমধ্যে ৭টি বড়, ৬টি ছোট ও একটি মাঝারি ফেরি রয়েছে।
এদিকে, পদ্মা নদীর অব্যাহত পানি বৃদ্ধির কারণে বর্তমান দৌলতদিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যার কারণে চরম ঝুঁকিতে রয়েছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের অন্যতম প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট।