ব্যবসায়ী অহিদুল আলমকে জোরপূর্বক এক নারীর সঙ্গে ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল করে তাকে পাঁচদিন আটকে রেখে মোটা অংকের চাঁদা আদায়ের চেষ্টার অভিযোগে সাতক্ষীরার কথিত এক সাংবাদিক ও মানবাধিকার সংরক্ষণ কমিশনের চেয়ারম্যান শহিদুলকে এক নারীসহ আটক করেছে পুলিশ।
একইসঙ্গে শহরের পলাশপোল সরদারপাড়া থেকে ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের কাছে এ সময় প্রতারক শহিদুল নিজেকে স্বঘোষিত মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, ভূমিহীন নেতা, ঢাকা থেকে প্রকাশিত দু’টি পত্রিকার মালিক বলে জানান।
সদরথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী অহিদুল আনাম বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
নিজেকে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও কয়েকটি পত্রিকার সম্পাদক ও সাংবাদিক পরিচয়ে এক সময়ের ভূমিহীন শহীদুল ও তার সহযোগী আফসানা জেলা ও জেলার বাইরে বিভিন্নস্থানে মানুষকে জিম্মি করে ব্যাপক চাঁদাবাজি করে আসছিল বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
তার বিরুদ্ধে আইনি সহায়তা দেওয়ার নামে বিভিন্ন নারীর সঙ্গে জোরপূর্বক অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলা, মানুষকে জিম্মি করে চাঁদাদাবিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। আইনি সহায়তা দেওয়ার নামে তার অনৈতিক কর্মকাণ্ডের শিকার এক নারী কয়েক বছর আগে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। কোনো উপায় না পেয়ে ২০১১ সালে তারা ভারতে চলে যেতে বাধ্য হয়।
এ ছাড়া ২০১৯ সালে জেলা প্রশাসন প্রাণসায়ের খালের দু’পাশ থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে পার্ক বানানোর উদ্যোগ নিলে জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা সড়কের ক্ষুদ্র ফার্ণিচার ব্যবসায়ীদের হাইকোর্টে রিট করার নামে কয়েক দফায় চার লাখ টাকা নিয়ে আত্নসাত করেন তিনি। বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজির জন্য সে পুলিশকে ব্যবহার করতো বলেও জনশ্রুতি রয়েছে। স্বামীর ওপর এসিড নিক্ষেপ মামলার আসামী আফসানাকে সে প্রতারণার কাজে ব্যবহার করে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে রয়েছে আরও নানা অভিযোগ।