বর্ষীয়ান রাজনীতিবদ এবং বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা এবং ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত দেশ-এই দুটি স্বপ্ন ছিলো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। তিনি স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন কিন্তু আরেকটি শুরু করেও শেষ করে যেতে পারনেনি। তার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত হবে বলে আশাবদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বুধবার (২৩ জুন) আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেন তিনি।
তোফোয়েল আহমেদ বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা ও কনিষ্ঠ কন্যা বিদেশে ছিলেন। ৮১-তে জ্যেষ্ঠ কন্যার হাতে আমরা আওয়ামী লীগের পতাকা তুলে দিয়েছি। সেই পতাকা হাতে নিয়ে নিষ্ঠা, সততা ও দক্ষতার সঙ্গে ৪০ বছর দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এবং চার বার দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। আমরা আশা করি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত হবে।’
দলের জন্য বঙ্গবন্ধুর ত্যাগের কথা স্মরণ তিনি বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও কারাগারের রোজনামচা পড়লে বোঝা যায়, কত কষ্ট করেছেন তিনি এই দলের জন্য। মন্ত্রিত্বের জন্য মানুষ ঘুরে বেড়ায়। কিন্তু বঙ্গবন্ধু মন্ত্রীত্ব ত্যাগ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। আবার ১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের পর যখন তিনি ক্ষমতায় আসলেন, তখন তিনি আবার আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ ত্যাগ করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী থেকেছেন। আর চার নেতার অন্যতম কামারুজ্জামানকে (শহীদ আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান) সভাপতি ও জিল্লুর রহমানকে (সাবেক রাষ্ট্রপতি) সাধারণ সম্পাদক করেছিলেন। ধাপে ধাপে ছাত্রলীগের যারা নেতা ছিলেন, তারা আওয়ামী লীগের বড় নেতা হয়েছেন। সুতরাং রাজনীতি রাজনীতিবিদদের হাতে নাই, এ কথা বলা এখন খুব কঠিন।’
বর্তমানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘‘আমি মনে করি, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগ করেছিলেনই বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য। আমি বঙ্গবন্ধুর কাছে থাকতাম। তার স্নেহধন্য আমার জীবন। তিনি (বঙ্গবন্ধু) বলেছিলেন, ‘পাকিস্তান কাঠামোর মধ্য দিয়ে বাঙালির মুক্তি আসবে না। একদিন বাংলার ভাগ্য নিয়ন্ত্রক বাঙালিদেরকে হতে হবে।’সে লক্ষ্য সামনে নিয়েই তিনি আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করে তার স্বপ্ন পূরণ করেছেন।”
বঙ্গবন্ধু প্রথমে নিজেকে, তারপর দেশকে, তারপর তার যে নীতি-আদর্শ, সেটাকে প্রস্তুত করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার একটা লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিলো। আজকে ভাবতে ভালো লাগে- বঙ্গবন্ধু সেই লক্ষ্য পূরণে সক্ষম হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু একমাত্র নেতা যিনি উপলব্ধি করেছিলেন, পাকিস্তান বাঙালিদের জন্য হয় নাই। একদিন বাংলার ভাগ্য নিয়ন্ত্রক বাঙালিদের হতে হবে। সে লক্ষ্য সামনে নিয়ে তিনি সংগ্রাম করেছেন।