'নিষিদ্ধের পর শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হলেন, এটা জামায়াতের কেরামত'

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার চার দিনের ব্যবধানে শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হলেন, এটি জামায়াতে ইসলামীর কেরামত বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগরীর আমির আলহাজ্ব শাহাজাহান চৌধুরী।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় জামায়াতের দক্ষিণ ফটিকছড়ি শাখার উদ্যোগে আয়োজিত প্রীতি সম্মেলনে প্রধান অতিথির তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিজ্ঞাপন

উপজেলার ধর্মপুর আজাদী বাজার ঈদগাহ ময়দানে ৩৬ বছর পর এ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। সম্মেলন ঘিরে বড় জমায়েত করে জামায়াত ইসলামীর নেতাকর্মীরা।

জামায়াত নিষিদ্ধের প্রসঙ্গে শাহজাহান চৌধুরী বলেন, আপনারা চৌদ্দ দল গত ৩১ আগস্টে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আর সেই প্রস্তাবে শেখ হাসিনা ফুলে ফেঁপে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করেছিল। পৃথিবীর কোন ইতিহাসে নাই কোন ছাত্র সংগঠনকে একটি রাজনৈতিক দলের সাথে নিষিদ্ধ করা। সাবেক প্রধানমন্ত্রী আপনি মাত্র ৪ দিনের ব্যবধানে দেশ থেকে পালাতে বাধ্য হলেনএটাই হলো জামায়াতে ইসলামীর কেরামত। সাবেক সংসদ সদস্যরা এত টাকা পাইলেন কই? হাজার হাজার কোটি টাকা। আপনারা মনে করেছিলেন পালিয়ে থাকতে পারবেন। আগামী এক মাসের মধ্যে প্রাক্তন যত এমপি আছেন তাদের সব সম্পত্তি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে বাজেয়াপ্ত করা হবে।

বিজ্ঞাপন

তরিকত ফেডারেলশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি নজিবুর বশরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এখানকার সাবেক এমপি সাহেব (নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী) আপনি অনেক গালাগালি করেছেন। জবাব এখন দেব না, আগামী জাতীয় নির্বাচনে দেব। সাবেক এমপি সাহেব আপনি অনেক খেলা খেলেছেন। ফটিকছড়ির সমস্ত কর্মকাণ্ডের জন্য আপনিই সবচেয়ে বেশি দায়ী। আমরা তরিকতে বিশ্বাস করি বেদায়াতে বিশ্বাস করি না। আমরা কুসংস্কারে বিশ্বাস করিনা। আমরা ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করা পছন্দ করি না।

ফটিকছড়ি দক্ষিণ জামায়াতের উপদেষ্টা অধ্যক্ষ আ. ন. ম আবদুশ শাকুর এর সভাপতিত্বে প্রীতি সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আমীর মুহাম্মদ আলাউদ্দিন সিকদার, বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক উত্তর জেলা আমীর অধ্যাপক নুরুল আমীন চৌধুরী,খাগড়াছড়ি জেলা জামায়াতের আমীর সৈয়দ আবদুল মোমেন,বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নুরুল আমিন, উপজেলা আমীর নাজিম উদ্দিন সিকদার।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নুরুল আমীন বলেন, 'ফটিকছড়ির জনপদকে ইসলামী আন্দোলনের জন্য আল্লাহ কবুল করেছেন। এ মাটিতে আমাদের শহীদেরা জীবন দিয়ে গেছেন। ইসলামী আন্দোলনের কর্মী হিসেবে শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা আমাদের উপর অবধারিত কর্তব্য। ফটিকছড়িতে বিগত সরকারের নেতৃত্বগুলো শুধুমাত্র হত্যা, লুটপাট, সন্ত্রাস ও রাহাজানির নিদর্শন স্থাপন করে গেছে। এ জনপদের সামাজিক বন্ধনকে ভেঙে গুড়ো গুড়ো করেছে। এ জনপদকে ভয়ের জনপদে পরিণত করেছে।

ফটিকছড়ি পেশাজীবি ইউনিটের থানা সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার ইমামুল হক ও ফটিকছড়ি দক্ষিণ জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক সেলিম উদ্দিনের যৌথ সঞ্চালনায় প্রীতি সম্মেলনে আরও বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতের সহ-সেক্রেটারি অধ্যাপক ফজলুল করিম,জেলা শুরার সদস্য আব্দুল জব্বার, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর এডভোকেট ইসমাইল গণি, ফটিকছড়ি উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ইউসুফ বিন সিরাজ, হাটহাজারী উপজেলার সেক্রেটারি অধ্যাপক শোয়াইব চৌধুরী, উপজেলার ওলামা বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, এজহারুল ইসলাম, নাজিরহাট পৌরসভার সভাপতি বায়েজিদ হাসান মুরাদ, সেক্রেটারি শামসুল আরেফিন আরিফ, ছাত্রশিবিরের জেলা পূর্বের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম, শফিউল আলম নূরী।


প্রীতি সম্মেলন আয়োজন করেন দক্ষিণ ফটিকছড়ি জামায়াতের সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুর রহিম, সেক্রেটারি অধ্যাপক সেলিম উদ্দিন, সহ সভাপতি মাওলানা তৈয়ব আলী নুরী, উপদেষ্টা মাস্টার নজরুল ইসলাম, খোরশেদুল আলম ফিরোজ, সহকারী সেক্রেটারি আবু জাফর মোহাম্মদ আলম।