বাংলাদেশের গভর্নর ডি গ্রেড পেয়েছেন। এই চতুর্থ শ্রেণীরই যোগ্যতা এদের। এরা চতুর্থ শ্রেণীর লোক, কিন্তু লুটপাটে একেবারে এ প্লাস, দালালিতে এ প্লাস, দেশ বিক্রিতে এ প্লাস। কাজেই এই দালাল, লুটপাটকারী, দেশ বিক্রিকারী যারা আজকে রাষ্ট্র প্রশাসনে বসে সরকারের ভোট ডাকাতি, তাদের আরেকটি নীল নকশার নির্বাচনকে জায়েজ করতে চান, সফল করতে চান, তাদের সমস্ত ষড়যন্ত্র নস্মাৎ করে দিতে হবে। এ জন্য আমাদের দরকার গণজাগরণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী এবং গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা জুনায়েদ সাকি।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দমন, নিপীড়ন, গ্রেপ্তার ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের প্রতিবাদে এবং অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের প্রতিষ্ঠায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সমাবেশ ও পদযাত্রায় তিনি এসব কথা বলেন।
সাকি বলেন, আগামী ৩০ তারিখ শনিবার যুগপৎ আন্দোলনের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শ্রমিক সংগঠনগুলো যৌথভাবে একটি শ্রমিক কনভেনশনের আয়োজন করেছে। সেটির স্থান নেওয়া হয়েছিল মহানগর নাট্যমঞ্চ। সেটির অনুমতি সিটি করপোরেশন দিয়েছে। কিছুক্ষণ আগে ডিএমপি জানিয়েছে, ওই বায়তুল মোককররমের গেইটে নাকি কৃষক লীগ সমাবেশ ঘোষণা করেছে। কাজেই ওই মহানগর নাট্যমঞ্চে তারা এই কনভেনশন করার অনুমতি দিতে পারবে না। এই হচ্ছে বর্তমান সরকারের অবস্থা।
তিনি বলেন, সরকার নাকি সভা সমাবেশে কোনো বাধা দেয় না, তারা নাকি এই দেশে আইনশৃঙ্খলা, শান্তি খুব বজায় রেখেছে, তারা নাকি একটি সুষ্ঠু ভোট করবে। এসব কাজের পরে সারা দুনিয়ায় তারা যখন মাথা হেইট করে, বাংলাদেশের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আসে, তখন আবার আওয়ামী লীগ আবদার করে, আমরা কেন তাদের পক্ষ নিচ্ছি না, দেশের পক্ষ নিচ্ছি না। আমেরিকা কিংবা অন্যরা বাংলাদেশকে নানাভাবে চাপ দিয়ে তাদের স্বার্থ রক্ষা করতে যাচ্ছে।
সাকি আরো বলেন, আজকে মানুষকে মাঠে নামতে হবে। বাংলাদেশের কঠিন সময়ে আপনারা যদি বিভ্রান্ত হন, তাহলে আপনারা সময়ের যে দাবি, সেখান থেকে বহুদূরে সরবেন। এই দেশর ধ্বংসের জন্য তারাও দায়ী থাকবেন। কাজেই আমরা জনগণকে বলবো, আপনারা রাজপথে নামার প্রস্তুতি নিন।
আমরা বিদেশিদের দিকে তাকিয়ে নেই৷ আমরা বাংলাদেশের মানুষের দিকে তাকিয়ে আছি। বাংলাদেশের মানুষ বাংলাদেশের আগামী ভবিষ্যৎ তৈরি করবে।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম,ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু, বিপ্লবী ওয়ারকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক,জেএসডি'র সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া রব প্রমুখ।