জনগণকে ভোটের সুযোগ দিলে প্রধানমন্ত্রী হবেন তারেক রহমান: দুদু

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, জনগণকে ভোট দেওয়ার সুযোগ যদি দেওয়া হয় তাহলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন তারেক রহমান।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ, ভারতসহ কিছু চোর ডাকাত বিএনপিকে দেখতে পারে না। এজন্য তারা ইলেকশনকে ঠেকিয়ে রাখতে চাই। যাতে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে না পারে। তারেক রহমান যেন প্রধানমন্ত্রী হতে না পারে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৩০ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে বাংলাদেশ কর্মজীবী দল গাজীপুর মহানগর এর উদ্যোগে আয়োজিত আওয়ামী ফ্যাসিবাদের গণহত্যা, লুটপাটের বিচার ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আল্লাহ তায়ালা বিএনপি ও তারেক রহমানকে মেনে নিয়েছে বলে আমার বিশ্বাস। তা না হলে এত বড় পরিবর্তন হতো না। আল্লাহর ইশারায় এত বড় পরিবর্তন হয়েছে। বিএনপি, তারেক জিয়া, শহীদ জিয়া, বেগম জিয়াকে যারা ভালোবাসে তাদেরই দিন আসছে আগামী দিনে। সেজন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকতে হবে। এই ঐক্যই আমাদেরকে সাফল্যের দিকে নিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, অনতিবিলম্বে একটি নির্বাচন দিতে হবে। তার মানে এই নয় যে আগামী কালকে নির্বাচন দিতে হবে। আমরা রোডম্যাপের দাবি করেছি। কখন নির্বাচন দিবেন সময়টা তো আমাদেরকে জানতে হবে। সে সময়টা আমাদের বলেন দেশের জনগণ ভোট দেওয়ার আশায় বসে আছে । জনগণ ভোটের অধিকার থেকে ২০ বছর ধরে বঞ্চিত। জনগণের ঠিক করবে কে তাদের প্রতিনিধি হবে। সেই প্রতিনিধির মাধ্যমে আমরা আবার দেশটাকে সুন্দরভাবে সাজাতে চাই।

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, শেখ হাসিনা যা বলতেন সেটি করতেন না। আর যা করতেন সেটি বলতেন না। মাইক ধরলে তিনি অশ্লীল বক্তৃতার রাণী ছিলেন। কাউকে কখনো সম্মান রেখে তিনি কথা বলেননি। আমার কাছে মনে হয়েছে এই মানুষটা যে এত বড় খুনি সেটি গত জুলাই-আগস্টের পতনের আগ পর্যন্ত আমরা দেখতে পাই নি।। ওই সময় নির্বিচারে হত্যাকাণ্ড করা হয়েছে। কিন্তু ১৬ বছর ধরে অনেক হত্যাকাণ্ড, ঘুম, নির্যাতন রয়েছে। এই এক মাসেরটা তাৎক্ষণিকভাবে সবার চোখে পড়েছে। বিশ্বের চোখে পড়েছে। তার পতন হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের যদি সুষ্ঠু বিচার করা না হয় তাহলে ভবিষ্যতে যে কেউ এরকম স্বৈরাচারী হয়ে উঠতে পারে। সেজন্য অনতিবিলম্বে প্রত্যেকটি হত্যাকাণ্ডের ন্যায্যত, আইনত বিচার করতে হবে। এইটা জনগণের দাবি। বিশ্বের দাবি। গণতন্ত্রকামি মানুষের দাবি। এটা ফেলে রাখা যাবে না।

বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আওয়ামী লীগের মতো এত বড় লুটপাটকারী সরকার বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনো আসেনি। সে তার বাপকেও হারিয়ে দিয়েছে। ৪০ হাজার বিরোধী নেতাকে শেখ মুজিব সাড়ে তিন বছরে হত্যা করেছে। শেখ হাসিনা তারইতো কন্যা। '৭২ সালে শেখ কামাল ব্যাংক ডাকাত হিসেবে তখনই পরিচিতি পেয়েছে। সেই সময় গণকণ্ঠে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সে কারণে গণকণ্ঠসহ পত্রিকাগুলোকে তছনছ করে ফেলা হয়েছে। এরকম খুনি লুটপাটকারী পরিবার বিশ্বে নেই বললেই চলে।

তিনি বলেন, দেশ থেকে পাচারকৃত টাকাগুলো ফেরত আনতে হবে। সরকার উদ্যোগ নিয়েছে আমরা এটিকে সমর্থন জানিয়েছি। কিন্তু উদ্যোগ আর সমর্থন এটি বড় কথা নয়। এই টাকা জনগণের মেহনতের টাকা। সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা ফেরত আনতে হবে।

সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, এ সরকারকে বিএনপি সমর্থন করে। তারেক রহমান সরকারকে সমর্থন দিয়েছে। এ সরকারের ব্যর্থ হওয়ার কোন সুযোগ নেই। দেশবাসী আপনাদের পাশে আছে। কয়েকটা সিন্ডিকেট মানুষের টাকা অন্যায় ভাবে লুটে নিবে এটা হতে পারে না। সরকারকে এগুলো দূর করতে হবে এবং আরো শক্তিশালী হতে হবে। শক্ত ভূমিকা নিতে হবে। যেই হোক তাকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেফতার করতে হবে। তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। সরকার তো জনগণের সরকার। তাহলে এগুলো ভাঙতে অসুবিধা কোথায়। প্রয়োজনে আমরা নেমে পড়বো। চোর ধরা এত কঠিন কাজ নয়।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য মাইনুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচা আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, কর্মজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আলতাব হোসেন, বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম খান প্রমুখ।