বিএনপির চার দলছুট নেতার সংবাদ সম্মেলন, নিচ্ছেন নির্বাচনের প্রস্তুতি

বিবিধ, রাজনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-11-15 18:33:20

বিএনপির নির্বাহী কমিটির দুই সদস্য অ্যাডভোকেট খন্দকার আহসান হাবিব এবং অ্যাডভোকেট ফখরুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন মনিরুল ইসলাম মিন্টু, সাবেক যুবদল নেতা স্বপন সরকারের নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করেছে নতুন রাজনৈতিক জোট ‘স্বতন্ত্র গণতন্ত্র মঞ্চ’।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মালিবাগের একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে এই জোটের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) দলছুট এই চার নেতা সহিংসতা পরিহার করে বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহবান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অ্যাডভোকেট খন্দকার আহসান হাবিব বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপি সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের নামে যে ‘ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি’ পরিচালনা করছে, তাতে দ্বিমত পোষণ করেন তারা। একইসঙ্গে তারা বলেছেন, গণতান্ত্রিক ধারায় নির্বাচন বর্জনের কোনো যৌক্তিকতা নেই, তারা দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতেন চান।

বিএনপির এই চার নেতা সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, বিএনপি বা কোনো নতুন-পুরনো রাজনৈতিক দল নয়; তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। তাদের মধ্যে অ্যাডভোকেট খন্দকার আহসান হাবিব টাঙ্গাইল-৫, অ্যাডভোকেট ফখরুল ইসলাম ঝালকাঠি-২, মনিরুল ইসলাম মিন্টু টাঙ্গাইল-৮, সাবেক যুবদল নেতা স্বপন সরকার রাজশাহী-১ আসনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন।

খন্দকার আহসান হাবিব বলেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটি ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে স্বতন্ত্র গণতন্ত্র মঞ্চে যোগদান করেছেন। তবে এই মঞ্চ কোনো রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে না। এটি স্বতন্ত্র প্রার্থীদের একটি প্ল্যাটফর্ম। এখানে ১০০-১২৫ জন সদস্য রয়েছেন। বিএনপির বাইরের কোনো দলের তেমন কেউ নেই। বিএনপি থেকে পদত্যাগ করি নাই আমরা।

বিএনপির নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছি উল্লেখ করে খন্দকার আহসান হাবিব বলেন, আমরা মনে করি, বিএনপির ইলেকশনে যাওয়া উচিত। এই জ্বালাও-পোড়াও, অবরোধ করে ২০১৪ সালের নির্বাচন ঠেকানো যায় নাই। আমরা মনে করি, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা যদি রক্ষা করতে হয় তবে নির্বাচনের বিকল্প কিছু নাই। আর যদি নির্বাচনের বিকল্প কিছু হয় তবে সেটা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় বা শীর্ষ নেতাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে রাজি করাতে উদ্যোগ নিলেও তা সফল হয়নি বলে জানান বিএনপির এই চার নেতা।

বিএনপির সরকার পতনের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে দাবি করছে সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে কথা বলা ঠিক না। আদালতের বিপক্ষে অবস্থান থাকার সুযোগ নাই। অ্যাপিলিয়েট ডিভিশনে যদি কোনো রিভিউ পিটিশন ফাইল করত বিএনপি তাহলে না হয় কথা বলা যেত।

নির্বাচনে যেতে সংলাপ ও নির্বাচনী পদ্ধতির সংস্কার নিয়ে কথা বলেন খন্দকার আহসান হাবিব। তিনি বলেন, আমরা মনে করি, সমস্ত সংকটের সমাধান হতে পারে সংলাপে। সকল রাজনৈতিক দলের শর্তহীন সংলাপে বসা উচিত। আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থার স্থায়ী সংস্কার দরকার। এই সংস্কার যদি না হয়, তবে প্রতিবার নির্বাচনের আগে যে সহিংসতা হয় তা থামানো যাবে না।

এ সম্পর্কিত আরও খবর