শাহাদাত-বক্করের বিদায়, চট্টগ্রামে বিএনপির নেতৃত্বে নতুন মুখ

, রাজনীতি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরা | 2024-07-07 15:19:58

আভাস মিলেছিল আগেই। শেষ পর্যন্ত সেটিই সত্যি হলো। প্রায় ৮ বছর পর চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দায়িত্ব থেকে বাদ পড়েছেন সদ্য সাবেক আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর। এই দুই পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ ও সাবেক ছাত্রদল নেতা নাজিমুর রহমানকে।

রোববার (৭ জুলাই) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে নতুন কমিটির কথা জানানো হয়েছে।

২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর ডা. শাহাদত হোসেনকে আহ্বায়ক ও আবুল হাশেম বক্করকে সদস্য সচিব করে ৩৯ সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির নেতৃবৃন্দকে দ্রুততম সময়ে নগরের থানা ও ওয়ার্ড কমিটি পুনর্গঠনের নির্দেশনা দেয় কেন্দ্র। কিন্তু কয়েক দফা উদ্যোগ নিলেও তা সম্ভব হয়নি। ২০২১ সালের অক্টোবরে পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার শেষ পর্যায়ে এসে কেন্দ্রের নির্দেশে তা স্থগিত করা হয়। গত ১৩ জুন সেই আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলে অনেকেই দুই পদের জন্য দৌড়ঝাঁপ করেন।

অবশ্য একটা পক্ষ চেয়েছিল শাহাদাত-বক্করের হাতেই থাকুক নগর বিএনপির নেতৃত্ব। নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-মামলায় পাশে থাকার কারণে চট্টগ্রামে এই দুই নেতার বিরুদ্ধে তেমন কোনো অভিযোগ ওঠেনি নিকট অতীতে। তবে আরেকটা পক্ষ বছরের পর বছর আহ্বাবায়ক কমিটি থাকতে পারে না-বিষয়টি সামনে এনে জোর তদবির চালিয়ে যান। শাহাদাত-বিরোধী কেন্দ্রীয় নেতাদের একটি পক্ষ এরশাদ উল্লাহ ও নাজিমুর রহমানকে বসাতে চেষ্টা চালিয়ে যান। এর মধ্যে এরশাদ উল্লাহ পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করে তার শক্তিও দেখান। শেষ পর্যন্ত সেই দুই নেতার কাঁধেই উঠল চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির ভার।

২০১৬ সালের ৬ আগস্ট ডা. শাহাদাতকে সভাপতি ও আবুল হাশেম বক্করকে সাধারণ সম্পাদক করে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়, যা পরের বছর ১০ জুলাই ২৭৫ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়। এরও আগে ২০১০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের আগস্ট পর্যন্ত আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সভাপতি এবং ডা. শাহাদাত হোসেন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন নগর বিএনপির। তবে প্রায় ১৪ বছর নগর বিএনপির শীর্ষ পদে দায়িত্ব থাকা শাহাদাত হোসেনকে এবার বিদায় নিতে হলো। শোনা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় কোনো পদে তাকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। তবে আবুল হাশেম বক্করের ভাগ্যে কি ঘটছে-তা এখনো জানা যায়নি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর