প্রথমার্ধের ভুল শুধরে দ্বিতীয়ার্ধে নতুন কৌশলে মাঠে নামে বাংলাদেশ। কাজও হয় তাতে। বল দখল কিংবা আক্রমণেও আসে গতি। বেশ কবার গোলের সুযোগও তৈরি হয়। তবে কোনো বারই জালের দেখা মেলেনি। উল্টো ম্যাচের ৮২ মিনিটে ভারতের ব্রাইস মিরান্ডাকে ডি বক্সে ট্যাকল করার খেসারত দিতে হয়েছে বাংলাদেশকে। পেনাল্টি থেকে গোল করে ভারতকে জয় এনে দেন সুনীল ছেত্রী। ১-০ গোলের এ হারে এশিয়ান গেমসের দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠার পথ প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের জন্য।
এর আগে মিয়ানমারের বিপক্ষে হারায় এ ম্যাচে জয় কিংবা ড্র’ করলেও পরের রাউন্ডে যাওয়ার পথ খোলা থাকত বাংলাদেশের। কেননা চার দলের গ্রুপ থেকে পরবর্তী রাউন্ডে যাবে তিনটি দল। সে হিসেবে আজ ড্র করলে পরের ম্যাচে জিততে হতো বাংলাদেশকে। সেটি অবশ্য সম্ভব হয়নি। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ চীন। যারা ভারতকে হারিয়েছে ৫-১ গোলে। এই অবস্থায় পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়া বাংলাদেশের জন্য প্রায় অসম্ভব।
অবশ্য এদিন ভারতের বিপক্ষে ভিন্ন কিছুর স্বপ্নই দেখছিল সমর্থকরা। প্রথমার্ধে ভারতের একাধিক আক্রমণ সামলানোর পর দ্বিতীয়ার্ধে বল দখলে রেখে পাল্টা আক্রমণে যাওয়া শুরু করে হাভিয়ের কাবরেরার দল। সুযোগও এসেছিল ৫৫ মিনিটে। তবে ভারতীয় গোলরক্ষক ধীরাজ সিংয়ের ভুলকে কাজে লাগিয়ে গোল আদায় করতে পারেননি সুমন রেজারা। ম্যাচের সেরা সুযোগটি বাংলাদেশ পেয়েছিল ৭৭ মিনিটে। মাঝ মাঠ থেকে বাড়ানো বল ধরে ডি বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন জনি। গোলরক্ষককে একাও পেয়েছিলেন। তবে তার নেওয়া শট শরীর দিয়ে আটকে দেন ভারতীয় গোলরক্ষক ধীরাজ।
পরের গল্পটা ভারতের। ৮২ মিনিটে ভারতের আক্রমণ সামলাতে গিয়ে ডি বক্সে ভুল করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক রহমত মিয়া। ব্রাইস মিরান্ডাকে ফেলে দেন। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। মাঠে এ নিয়ে আপিল জানালেও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন রেফারি। সহজ সুযোগ কাজে লাগিয়ে দলকে জয় এনে দেন ছেত্রী।