জাতীয় দলের কোচ, অধিনায়ক কিংবা সিলেক্টর নিয়োগের সঙ্গে সরাসরি জড়িত বিসিবির অরারেশন্স কমিটি। সেই কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। গতকাল তার কমিটি থেকেই জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচকের পদে মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর জায়গায় বসানো হয়েছে গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে।
একই সঙ্গে সহকারী নির্বাচক হাবিবুল বাসারের জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হান্নান সরকারকে। অথচ এসবের কিছুই জানেন না অপারেশন্স কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সুজন। যা নিয়েই মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমে ক্ষোভ ঝেড়েছেন সুজন। অপারেশন্স কমিটির এই পজিশনে থাকার প্রয়োজন কি সেই প্রশ্নও রেখেছেন তিনি।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিসিবির বোর্ড সভায় পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন উপস্থিত ছিলেন না। প্রায় ৬ মাস পরে অনুষ্ঠিত হওয়া এই বোর্ড সভায় কেন তিনি অংশ নেননি, সেটা রহস্যময়। তাই বিসিবির প্রধান নির্বাচক ঘোষণা দেওয়া নিয়ে বেশ অবাকই হয়েছেন তিনি। যদিও গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুলেননি তিনি।
সাবেক ক্রিকেটার ও অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর ক্রিকেট মেধা এবং যোগ্যতার প্রশ্নে সুজন জানান, ‘লিপু ভাইয়ের অনেক ক্রিকেট মেধা। আমাদের অনেক সিনিয়র। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে অনেকদিন ধরে দেখছেন। জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন, আবাহনীর অধিনায়ক ছিলেন। উনাকে নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকতে পারে না। উনি আসাতে ভালো হতে পারে। নির্বাচক হতে পারেন বা এমন কিছু আমি আগে শুনিনি। খুবই চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত এসেছে বিসিবি থেকে।’
এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত ব্যাখ্যায় চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ক্রিকেট যিনি খেলেছেন তার ক্রিকেটজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তোলা তো অস্বাভাবিক। অধিনায়কত্ব করেছেন, এত বছর ধরে ক্রিকেটের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মাঝখানে বড় গ্যাপ আছে। টিভিতে আমরা সবাই কথা বলতেই পারি। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে কী হচ্ছে, প্রিমিয়ার লিগ বা বয়সভিত্তিক ক্রিকেট তবে আমার মনে হয় না এটা উনার জন্য খুব একটা কঠিন হবে। মানিয়ে নিতে বেশি সময় লাগবে না। উনার ক্রিকেট মেধা, বিচক্ষণতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকতে পারে না, দ্বিমত থাকতে পারে না।’
এরপরও বিষয়টি যে তার কাছে অবাক করার ব্যাপার ছিল সেটাও জানিয়েছেন সুজন, ‘বিষয়টি আমার জন্য খুবই সারপ্রাইজিং ছিল। আমি নামটা শুনিনি। বাতাসে অনেক নামই ভাসছিল, গুঞ্জন ছিল। আমার জন্য অবাক করা কারণ আমি ক্রিকেট অপারেশন্সের ভাইস চেয়ারম্যান অথচ আমি জানিই না। এটা আমার খুব অবাক লাগল। লিপু ভাই যথেষ্ট বুদ্ধিমান মানুষ। আমরা যখন উনার সাথে খেলেছি, তরুণদের সেভাবেই সাপোর্ট করেছেন। রাজ্জাক-হান্নানের সাথে সেভাবেই গুছিয়ে নেবেন, তারাও শিখতে পারবে।’
সুজন আরও বলেন, ‘আমি ক্রিকেট অপারেশন্সের ভাইস চেয়ারম্যান অথচ আমি জানিই না, ক্রিকেট অপারেশন্স সিলেক্টর নিচ্ছে, কে হচ্ছে? খুবই অবাক করার মতো! আমার এই পজিশনে থাকার প্রয়োজন কি আমি আসলে সেটাও জানি না।’