ভারতকে ৩৭৬ রানে বেধে ফেলে যে স্বস্তিটা পেয়েছিল বাংলাদেশ, তা উবে যেতে এক ঘণ্টাও সময় লাগল না। ২২ রানে ৩ উইকেট খুইয়ে বসে চেন্নাই টেস্টে সফরকারীরা ঘোর বিপদেই যায়। সেই সঙ্কট আর কাটিয়ে উঠতে পারলো কই দল? টপ অর্ডার ব্যর্থতার পর মিডলঅর্ডারও সেই একই ভাবে ভঙ্গুর। সাকিব ও লিটন দাস ধাক্কা কিছুটা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দুজনে উইকেটে সেট হয়ে আউট হন ভারতের স্পিন বিষে। এই রিপোর্ট লেখার সময় চা বিরতিতে বাংলাদেশ যায় ১১২ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে। চা বিরতির ঠিক আগের ওভারে হাসান মাহমুদের উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
লাঞ্চ থেকে চা বিরতি পর্যন্ত এই সেশনে বাংলাদেশ মাত্র ৮৬ রান যোগ করে হারায় ৫ উইকেট। লাঞ্চের আগে হারিয়েছিল ৩ উইকেট। সাকিব আল হাসানের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল হারানো ফর্ম তিনি এই ম্যাচে ফিরে পাচ্ছেন। কিন্তু ৬৪ বলে ৩২ রান করে জাদেজার স্পিনে আউট হন তিনি। তার খানিক আগে অ্যাডভেঞ্চার্স শটস খেলতে গিয়ে লিটন দাস উইকেট খোয়ান।
অশ্বিন ছাড়া ভারতের বাকি চার বোলারই উইকেট শিকারের আনন্দে মাতেন। সকালে শুরুটা করেছিলেন বুমরাহ। চা বিরতিতে যাওয়ার আগে হাসান মাহমুদের শেষ উইকেটও তার। শিক্ষিত ব্যাটসম্যান বলতে এখন টিকে আছেন শুধুমাত্র মেহেদি হাসান মিরাজ।
এর আগে শুরুটা হয় ওপেনার সাদমান ইসলামের বিদায়ে। যশপ্রীত বুমরাহর বলটা অফ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে যাবে ভেবে ছেড়ে দিয়েছিলেন বাংলাদেশ ওপেনার। তবে বলটা গিয়ে আঘাত হানে ওই অফ স্টাম্পে। প্রথম ওভারেই উইকেট খুইয়ে বসে বাংলাদেশ।
এরপর আরেক ওপেনার জাকির হাসান আর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত একটু একটু করে দলকে নিয়ে যাচ্ছিলেন সামনে। লাঞ্চ ব্রেকের একটু আগে সেই জুটি ভাঙল। আকাশ দীপের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন জাকির।
মুমিনুল হকের ব্যাটে দীর্ঘ দিন ধরেই রান নেই। সেই তিনি আজও রানে ফিরতে পারলেন না। ওই আকাশের বলেই বোল্ড হয়ে ফিরলেন সাজঘরে। আউটের ধরনটাও জাকির আর মুমিনুলের একই, ব্যাট প্যাডের ফাঁক গলে বোল্ড। ২২ রানে ৩ উইকেট খুইয়ে বসে বাংলাদেশ। এরপর সেশন শেষে দলের স্কোরবোর্ডে রান ছিল ২৬। আর এখন চা বিরতি শেষে ১১২ রানে নেই ৮ উইকেট।
দ্বিতীয়দিনের সকালের সেশনেই ব্যাটিংয়ে ছিল ভারত। এখন ম্যাচের যা পরিস্থিতি তাতে দ্বিতীয়দিনের শেষ বিকেলে ভারতকে ফের ব্যাটিংয়ে নামতে হচ্ছে!