হিমাগারের অভাবে ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে সবজি



এসএম শহীদুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,সাতক্ষীরা, বার্তা২৪.কম
ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে বিপুল পরিমাণ সবজি। ছবি: সংগৃহীত

ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে বিপুল পরিমাণ সবজি। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সবজি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন সাতক্ষীরার চাষীরা। ক্রেতা না পেয়ে শতশত মণ শীতকাীলন সবজি চাষীর ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে। বিক্রি করতে না পেরে অনেকে গরু ছাগলের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করছে সবজি।

সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় চলতি মৌসুমে জেলাতে কয়েক কোটি টাকার সবজি নষ্ট হবে বলে জানান চাষীরা। ফলে ন্যায্য দাম না পেয়ে চাষীরা সবজি চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন বলে জানান।

সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর বড়বাজারে পাইকারী ব্যবসায়ীরা জানান, বেগুন কেজি প্রতি ৪-৫ টাকা, বাঁধাকপি ১-২টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫-৭ টাকা, টমেটো ৬-৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মূলা অবিক্রিত থাকছে।

চাষীদের দাবি সিন্ডিকেট করে সবজির দাম কমিয়ে দেয়া হচ্ছে। যেখানে উৎপাদন খরচ কেজি প্রতি ১০-১৫ টাকা, সেখানে বিক্রি হচ্ছে ৪-৫ টাকায়। সবজি চাষীদের দাবি তাদের কেজি প্রতি ক্ষতি ৫-১ টাকা। পাইকারী ব্যবসায়ীদের দাবী রাজধানীতে উৎপাদন বেশি থাকায় সবজির চাহিদা কমে গেছে। এছাড়া জেলাতে এত বেশি পরিমানে সবজি উৎপাদন হয়েছে যা কেনার লোক নেই। ফলে দাম অনেক কম। এছাড়া পরিবহন খরচ বেশি হওয়াতে ঢাকাতে সবজি পাঠানো কঠিন হয়ে পড়েছে।

জেলা কৃষিখামার বাড়ি সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে জেলায় ৯ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে সবজির চাষ হয়েছে। এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদরে ২ হাজার ৮০ হেক্টর, কলারোয়ায় ১ হাজার ৬শ’ হেক্টর, তালায় ১ হাজার ৬৬০ হেক্টর, দেবহাটায় ৫৫০ হেক্টর, কালিগঞ্জে ১ হাজার ৯১০ হেক্টর, আশাশুনিতে ৬২০ হেক্টর এবং শ্যামনগরে ৭শ’ হেক্টর জমিতে শীতকালিন সবজির আবাদ হয়েছে।
শীতকালিন সবজির মধ্যে বিশেষ করে ফুলকপি ৭৭৫ হেক্টর, বাঁধাকপি ৮০৫ হেক্টর, ওলকপি ৮৩০ হেক্টর, মূলা ৩৮০ হেক্টর, টমেটো ৪৮০ হেক্টর, সীম ৩৯৩ হেক্টর, পালংশাক ৫৭০ হেক্টর, বেগুন ৯৯৬ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবছর জেলাতে সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে।

কৃষি সূত্র জানায়, বিশ্বের মধ্যে সবজী উৎপাদনে বাংলাদেশ তৃতীয়। জিডিপিতে বাংলাদেশের কৃষি খাতের অবদান ১৬ শতাংশ। দেশের প্রায় ৪৫ শতাংশ লোক কৃষি খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট। সবজির বাম্পার ফলন হলেও কোনো মৌসুমেই সবজির ন্যায্য দাম পায়না কৃষক। পানির দামে বিক্রি হয় কৃষকের কষ্টার্জিত সবজি। চলতি মৌসুমেও সবজির বাজারে ব্যাপকভাবে ধস নেমেছে।

জেলার বিভিন্ন হাটে সবজির মধ্যে ফুলকপি ৪-৫ টাকা, সিম ও বেগুন ৫-৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। এই দামে সবজি বিক্রি করে হাটে আনতে ভ্যান ভাড়া এবং জমি থেকে ফসল উঠানোর খরচ হচ্ছে না কৃষকদের। বাঁধাকপি প্রতি পিস ৩-৪ টাকা, গাজর ৭-৮ টাকা কেজি, টমেটো ৮-১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে, কৃষকরা তাদের উৎপাদিত সবজির ন্যায্য দাম না পেলেও খুচরা বাজারে আবার তিনগুন বেশি দামে সবজি কিনছে ভোক্তাসাধারণ।

সাতক্ষীরা পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের মিয়াসাহেবেরডাঙ্গী গ্রামের মোহর আলীর ছেলে ইসমাইল হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে তিনি একবিঘা জমিতে ওলকপির চাষ করেন। এতে তার খরচ হয় ২০ হাজার টাকা। কিন্তু বাজারে বর্তমানে যে দাম তাতে তার ওলকপি বিক্রি হবে ৫-৬ হাজার টাকায়। ফলে বিঘা প্রতি তার ক্ষতি ১৪-১৫ হাজার টাকা। একই অভিযোগ জেলার লক্ষাধীক সবজি চাষীর।

সুলতানপুর বড়বাজারের পাইকারী ব্যবসায়ী তেজরাত ভান্ডারের ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম জানান, বাজারে সবজির দাম একেবারেই কম। পরিবহন খরচ বেশি থাকায় ঢাকাতে পর্যাপ্ত সবজি পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় জেলার পাইকারী ও খুচরা বাজারে সবজির দামে তারতম্য বেশি।

জেলার প্রত্যেকটি থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে হিমাগার না থাকায় সবজি সংরক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে কর্তৃপক্ষের দাবি। এখাতে সংশ্লিষ্টরা জানান, কৃষকরা সবজি সংরক্ষণের উপযুক্ত মাধ্যম তথা হিমাগার বা সংরক্ষণাগার পেলে উৎপাদিত বিপুল পরিমাণ সবজি হিমাগারে সংরক্ষণ করতে পারতো। এতে করে সিন্ডিকেট মহল দরপতনের চেষ্টা করলেও কৃষক এতে ক্ষতিগ্রস্ত হতোনা। সেইসাথে সবজি মৌসুমে পরিপূর্ণ সরবরাহ দিয়ে ন্যায্যমূল্যও পেতে পারবে।

কৃষি বিভাগ জানায় দেশে মোট হিমাগার আছে ৩৪৩টি। এগুলোয় মাত্র প্রায় সাড়ে ২০ লাখ টন পণ্য মজুদ রাখা যায়। এর মধ্যে ১ লাখ ৬২ হাজার টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ৪৭টি হিমাগার বন্ধ রয়েছে। চালু রয়েছে ২৯৬টি হিমাগার। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) ১৫ হাজার টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ১৭টি হিমাগার রয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অরবিন্দ বিশ্বাস জানান, জেলাতে সবজি সংরক্ষণের চেষ্টা করা হচ্ছে। সরকারিভাবে হিমাগার তৈরি জন্য সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। তিনি জানান জেলাতে হিমাগারে তৈরি হলে সবজি নষ্ট হবে না। এছাড়া চাষীরা ন্যায্য দামও পাবে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;