নিরাপদ সড়কের প্রত্যাশায় যা বলছেন তারা



মাহবুবুর রহমান সজীব

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকার বিমানবন্দর সড়কে দুই বাসের প্রতিযোগিতায় দুই শিক্ষার্থী মৃত্যুর প্রতিবাদে ৯ দফা দাবিতে সারাদেশে চলছে ছাত্র আন্দোলন। আন্দোলনের চতুর্থ দিনেই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রাস্তায় নেমে এসেছেন বিভিন্ন মাধ্যমের শিল্পীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও কথা বলছেন অনেকেই।


আইয়ুব বাচ্চু, কুমার বিশ্বজিৎ এবং মেহরিন মাহমুদ; এই তিন তারকা সংগীতশিল্পীও সচেতন এই বিষয়ে।


নিরাপদ সড়কের প্রত্যাশায় পরিবহন সেক্টরের সামগ্রিক অবস্থা এবং চলমান ছাত্র আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে বার্তা২৪-কে নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা জানিয়েছেন তারা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/03/1533309769514.jpg


আইয়ুব বাচ্চু


আমি নিজেও তো মাঝেমধ্যে রাস্তায় থাকি, এরকমও বলতে শুনছি বাসওয়ালাকে, হেল্পারকে যে ‘বায়ে প্লাস্টিক’। আমার ছোট্ট গাড়িটিও কিন্তু নিজের কষ্টে কেনা গাড়ি। এখন যদি আমি প্লাস্টিক হয়ে যাই তাদের কাছে, এটা চিন্তার ব্যাপার। আমরা কি প্লাস্টিক নাকি? মানুষ না?

এই দুঃসাহসিকতা এই উদ্ধতা বাড়তে বাড়তে এমন এক পর্যায়ে চলে গেছে, মানুষের গায়ে এখন গাড়ি তুলে দেওয়াও কোনো ব্যাপার না। যেহেতু ওদের কোনো শাস্তির বিধান নেই। আমার বিশ্বাস, এখন নিশ্চয়ই উপরের থেকে সুন্দর একটা নিয়ম করা হবে, একটা সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এবং নিশ্চয়ই এগুলো কমে আসবে।

 

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/03/1533309065346.jpg


কুমার বিশ্বজিৎ


দায়িত্ববান লোকজন যদি তাদের দায়িত্ব পালন না করে, সেই খেসারত যদি পুরো দেশবাসি এবং সরকারকে দিতে হয়; এটা তো খুবই দুঃখজনক। লাইসেন্সবিহীন গাড়ি, নাবালক চালক, লাইসেন্সবিহীন চালক, ফিটনেসবিহীন গাড়ি; রোডের মধ্যে দৃশ্যমান, এটা তো নতুন কিছু না! একটা বাসের কোনো রং নাই, হেডলাইট নাই; এটা তো হতে পারে না! এটা কেন হবে? এই আন্দোলনটা তো অসম্ভব যৌক্তিক একটা আন্দোলন। আন্দোলনেও যাবে কেন? এটা তো মৌলিক চাহিদা সবার! একজন নাগরিক হিসেবে আমি সুস্থভাবে চলাফেরা করবো, জীবন যাপন করবো, আমার ভবিষ্যত প্রজন্ম নিরাপদে চলবে; সেটার জন্য আমাকে তো কারো কাছে চিৎকার করার দরকার নাই! নৌপরিবহনমন্ত্রী, ওনার তো উচিৎ ছিলো এ্যটলিস্ট প্রত্যেকটা মা-বাবার কাছে ক্ষমা চাওয়া। উনি যেভাবে তাচ্ছিল্যভাবে নিজেকে শো করেছে, এদেশের একজন মন্ত্রী হিসেবে এটা খুবই দুঃখজনক এবং এজন্য সরকারকে লজ্জায় পড়তে হয়েছে।

 

 

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/03/1533309169574.jpg


মেহরিন মাহমুদ


যখনই আমি ঢাকার রাস্তায় নামি, তখন পাশ দিয়ে ভাঙা ভাঙা বাসগুলো যেভাবে যায়; আমার মনে হয় যে ওনারা নরমাল না, নরমাল হলে এভাবে কেউ গাড়ি চালাতে পারে না। আমাদের হাইওয়েগুলোর দুইপাশের চিত্র এতো মনোমুগ্ধকর, অথচ চলতে ভয় লাগে শুধু এই কমিউনিটিটার জন্য। এবং আমার ধারণা যে এনারা সাধারণ মানুষ নন। এনারা কোনো না কোনো ভাবে প্রভাবিত। কোনো একটা নেগেটিভ ইনফ্লুয়েন্সে এনারা চলেন, এটা এক। দুই হলো, আমি শুনেছি যে যতো তাড়াতাড়ি যাত্রী পার করতে পারেন, ততো ওনাদের লাভ। এই ব্যাপারটাও হয়তো ওনাদের মাথায় কাজ করে। কিন্তু ওনারা ভুলে যান যে, ওনাদেরই ভাই হয়তো ওনার গাড়ির সামনে পড়তে পারে; এমনকী নিজের সন্তানও। এটা আমার প্রতিদিনকার একটা বিস্ময় যে, এরা কারা!

আমি চাই যে- ভাল বাস আসুক, পরিচ্ছন্ন বাস আসুক, লক্ষী বাস আসুক, লক্ষী চালক আসুক। যেহেতু আমরাও সবদিক দিয়েই উচ্চমার্গের দিকে এগুচ্ছি, বাসের চেহারা এবং বাসের কর্মকর্তাবৃন্দ-চালকবৃন্দের মধ্যেও পরিবর্তন আসুক। ওনাদের শুভাশিষ আমাদের ভীষণ প্রয়োজন। আমরা কড়জারে ওনাদের কাছে বলছি- আপনারা আমাদের ভাইটি ছিলেন, ভাইটি থাকুন এবং ভাইটি আবারও হয়ে যান যদি কোনো কারণে পথভ্রষ্ট হয়ে থাকেন। কারণ যেভাবে ওনারা গাড়ি চালান, আমাদের মনে হয় না ওনারা আমাদের ভাইটি আছেন।

ওনাদের সামনে একটা ছোট্ট গাড়ি পড়লে, ছোট্ট একটা সিএনজি পড়লে, ছোট্ট একটা মানুষও পড়লে সেটাকে ভ্রুক্ষেপ করেননা। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশেপাশে থাকি। ওইখানে পর্যন্ত ওনাদের যে বেপরোয়া গতি, এটা আমাদের দেশের চারিত্রিক বৈশিষ্ট না। ওনাদেরকে আমার ভীষণরকমভাবে আবেদন, ওনারা যেন দেশের মহানুভবতা মেন্টেন করে চলেন। এই যে এত কিছু ঘটছে, ওনাদের কোনো বিকার হচ্ছে না। তার মানে ওনারা ভ্রষ্ট। মাইন্ড ইজ নট ওয়ার্কিং ইন দ্য প্রপার ডিরেকশন, মাইন্ড ইজ নট প্রপার্লি ওয়াকিং। একটা সাধারণ মানুষের মাইন্ড ওনাদের না।

আরও পড়ুনঃ

আন্দোলন নিয়ে যা বলছেন তারা

শুটিং বন্ধ রেখে তারাও আন্দোলনে

ফুলেশ্বরী নাম তার

   

`পিংক’খ্যাত অনিরুদ্ধর নতুন ছবিতেও জয়া



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
জয়া আহসান /  ছবি : ফেসবুক

জয়া আহসান / ছবি : ফেসবুক

  • Font increase
  • Font Decrease

বলিউডের আলোচিত ছবি ‘পিংক’ এর নির্মাতা অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরীর ‘কড়ক সিং’ দিয়ে গেল বছর বলিউডে পা রাখেন বাংলার জনপ্রিয় চিত্রতারকা জয়া আহসান। এই নির্মাতার পরের ছবিতেও দেখা যাবে জয়াকে। তবে ছবিটি নির্মিত হবে বাংলা ভাষায়।

অনিরুদ্ধ রায় কলকাতার নির্মাতা। বলিউডে বেশকিছু ছবি নির্মাণ করে নিজের অবস্থান পোক্ত করেছেন। বাংলা ভাষাতেও তার বেশকিছু আলোচিত ছবি রয়েছে। সর্বশেষ এই নির্মাতা বাংলা ভাষায় নির্মাণ করেছিলেন ‘বুনোহাঁস’।

জয়া আহসান /  ছবি : ফেসবুক

সেই ছবির প্রায় দশ বছর পর নতুন বাংলা ছবি নির্মাণের ঘোষণা দিলেন। ছবির নাম ‘ডিয়ার মা’। যেখানে মূখ্য ভূমিকায় দেখা যাবে জয়া আহসানকে। সেই সাথে ছবিতে রয়েছেন পশ্চিম বাংলার বেশ কজন গুণী মুখ। এরমধ্যে রয়েছেন চন্দন রায় সান্যাল, ধৃতিমান এবং শাশ্বত।

বলিউডে সফল নির্মাতার হঠাৎ টালিউডে ফেরার ইচ্ছে নিয়ে পশ্চিমবাংলার শীর্ষ দৈনিক আনন্দ বাজারকে অনিরুদ্ধ বলেন, “কিছু কিছু গল্প থাকে, যেগুলো নিজের ভাষায় বলতে ইচ্ছে করে। ‘ডিয়ার মা’ তেমনই একটা কাহিনি। হিন্দিতে ছবি করলেও, বাংলা সব সময়েই মনের কাছাকাছি ছিল। আমি আগামী দিনেও হিন্দি, বাংলা দুই ভাষাতেই কাজ করব।”

জয়া আহসান /  ছবি : ফেসবুক

সিনেমাটির বিষয়বস্তু নিয়ে নির্মাতা বলেন, “রক্তের সম্পর্কের চেয়েও ভালোবাসার সম্পর্ক বেশি জোরালো হয়। মেয়েকে বড় করার মধ্য দিয়ে মায়ের জীবনের একটা উত্তরণ হয়, সে পরিপূর্ণ হয়। আমরা কাছের মানুষের ওপর অধিকার বোধ জাহির করি। আসলে কারও ওপর অধিকার ফলানো যায় না। মানবিক সম্পর্কের সূক্ষ্ম কিছু মোচড় উঠে আসবে ‘ডিয়ার মা’ সিনেমায়।”

ছবিতে নাম চরিত্রটি করছেন জয়া আহসান। এ বিষয়ে তিনি বলেন,“এই গল্পটা আগে কখনো বলা হয়নি। তাই এটা পর্দায় বলা খুব জরুরি ছিল। এ ধরনের চরিত্রও আমি আগে করিনি। টোনিদা (অনিরুদ্ধ) সংবেদনশীল ভাবে গল্প বলেন, যেটা আমার খুব ভালো লাগে।”

জয়া আহসান /  ছবি : ফেসবুক

জানা যায় মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হবে শুটিং। এই মুহূর্তে কলকাতায় চলছে ওয়ার্কশপ।

;

তৃতীয় সপ্তাহে এসে ‘ওমর’ আর ‘লিপস্টিক’-এর চমক



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘ওমর’ ও ‘লিটস্টিক’ সিনেমার পোস্টার

‘ওমর’ ও ‘লিটস্টিক’ সিনেমার পোস্টার

  • Font increase
  • Font Decrease

সাম্প্রতিক সময়ের সর্বোচ্চ সংখ্যক ছবি মুক্তি পেয়েছে গত রোজার ঈদে। একসঙ্গে ১১টি ছবি এসেছে বড় পর্দায়। এর মধ্যে প্রথম দুই সপ্তাহে অনুমিত দাপট দেখা গেছে শাকিব খান অভিনীত ‘রাজকুমার’র। হিমেল আশরাফ পরিচালিত ছবিটি ১২৬টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল। এছাড়া মাল্টিপ্লেক্স থেকে শুরু করে সিঙ্গেল স্ক্রিনেও ভালো ব্যবসা করেছে।

সাধারণত ঈদের ছবির হল তালিকা দুই সপ্তাহ পর আপডেট হয়। তাই শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) শুরু হচ্ছে ছবিগুলোর নতুন সপ্তাহ। আর এই তৃতীয় সপ্তাহে এসে চমক দেখিয়েছে দুটি ছবি। এগুলো হলো ‘লিপস্টিক’ ও ‘ওমর’। এর মধ্যে মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ নির্মিত ও শরিফুল রাজ অভিনীত ‘ওমর’ ঈদে মুক্তি পেয়েছিল ২১টি প্রেক্ষাগৃহে। নতুন সপ্তাহে এটি চলবে ২৬টি হলে। যেটা নিঃসন্দেহে চমৎকার অগ্রগতি।

তবে বড় চমক দেখালো ঈদের ‘বঞ্চিত’ সিনেমা ‘লিপস্টিক’। এই ছবির টিম আশা করেছিল, ‘রাজকুমার’র পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হল তারা পাবে। কিন্তু আদতে ছবিটি মাত্র ৭টি হল পেয়েছিল। এটাকে ‘ষড়যন্ত্র’ বলেও অভিযোগ করেছিলেন ছবির সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, ভালো গল্পের মানসম্মত সিনেমা হওয়া সত্ত্বেও ছবিটিকে হল-বঞ্চিত করা হয়েছে।

তৃতীয় সপ্তাহে ‘লিপস্টিক’ সিনেমার হল লিস্ট

সেই আক্ষেপই যেন বাস্তব হলো। তৃতীয় সপ্তাহে অর্থাৎ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) থেকে দেশজুড়ে ৩১টি সিনেমা হলে চলবে আদর আজাদ ও পূজা চেরী অভিনীত ‘লিপস্টিক’। যা প্রথম সপ্তাহের চেয়ে চার গুণেরও বেশি! সহজেই আঁচ করা যায়, হল মালিকেরা ছবিটির মধ্যে সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন। তবে সেই সম্ভাবনা বাস্তবে ইতিবাচক ফল বয়ে আনে কিনা, তা জানা যাবে সপ্তাহের শেষে।

আদর আজাদ হল বাড়ার আভাস দিয়ে ক’দিন আগেই বলেছেন, “ঈদের আগে বলেছিলাম, আমাদের ‘লিপস্টিক’ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হল পাবে। এটা বলেছিলাম আমাদের কনটেন্টের জোরে। একটু দেরিতে হলেও কথা কিন্তু সত্য। দর্শকের আগ্রহ, হল মালিকদের চাহিদা, সিনেমাটির ইতিবাচক আলোচনা এবং সাংবাদিক ভাই-বোনদের সহযোগিতায় ২৬ এপ্রিল থেকে ছবিটির হলসংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে যাচ্ছে। বলেছিলাম, আমাদের কনটেন্টের দম আছে। আসলেই আছে। যারা যারা এখনও দেখতে পারেননি, দেখার পর এটাই বলবেন, শিওর।”

দুই সিনেমার হলসংখ্যা বাড়ার ফলে ঈদের অন্য ছবিগুলোর হল কমেছে, তা সহজেই আঁচ করা যায়। যেমন মিশুক মনি নির্মিত ‘দেয়ালের দেশ’ ঈদের দিন থেকে চলছিল ১৩টি প্রেক্ষাগৃহে। তৃতীয় সপ্তাহে এর দুটি হল কমে গেছে।

তৃতীয় সপ্তাহে ‘ওমর’ সিনেমার হল লিস্ট

এর বাইরে ‘রাজকুমার’ টিম এখনও তৃতীয় সপ্তাহের হললিস্ট প্রকাশ করেনি। তবে ছবিটি স্টার সিনেপ্লেক্সে দ্বিতীয় সপ্তাহেও ব্যবসার দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ও সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ।

এই ঈদে মুক্তি পাওয়া অন্য ছবিগুলো হলো গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত ‘কাজল রেখা’, কামরুজ্জামান রোমানের ‘মোনা: জ্বীন ২’, জাহিদ হোসেন পরিচালিত ‘সোনার চর’, ফুয়াদ চৌধুরীর ‘মেঘনা কন্যা’, জসিম উদ্দিন জাকিরের ‘মায়া: দ্য লাভ’, কাজী হায়াত পরিচালিত ‘গ্রিন কার্ড’ ও ছটকু আহমেদের ‘আহারে জীবন’। এর মধ্যে ‘জ্বীন ২’ ছাড়া কোনও ছবি তেমন সাড়া পায়নি।

;

সেন্সর বোর্ডের ওপর ক্ষুব্ধ রায়হান রাফী



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘অমীমাংসিত’ সিনেমার পোস্টার ও রায়হান রাফী

‘অমীমাংসিত’ সিনেমার পোস্টার ও রায়হান রাফী

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ক’বছর ধরে প্রেক্ষাগৃহ আর ওটিটি, দুই মাধ্যমেই সফলতা পেয়েছেন তরুণ নির্মাতা রায়হান রাফী। সেই নির্মাতাই প্রথমবার আটকা পড়লেন সেন্সর বোর্ডের জালে। আটকে গেলো তার ওয়েব সিনেমা ‘অমীমাংসিত’।

২৪ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড থেকে চূড়ান্ত রায় জানানো হলো, ছবিটি দর্শকদের সামনে প্রদর্শনযোগ্য নয়। তবে ৩০ দিনের মধ্যে আপিলের সুযোগ রয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ‘অমীমাংসিত’ নির্মাতা রায়হান রাফী। সেন্সর বোর্ডের এমন সিদ্ধান্তের বিপরীতে তার ভাষ্য, ‘বিষয়টি এমন হলো, আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে! এখানে কোনও খুন হয় না, কোনও গুম হয় না, কোনও ধর্ষণ হয় না।’

রাফীর ভাষায়, ‘সিনেমা বাস্তবের সাথে মিলে গেছে, তাই এটা মুক্তি দেওয়া যাবে না! সিনেমা হতে হবে অবাস্তব! বিষয়টা তাহলে এমন, কোনও সিনেমায় কোনও সাংবাদিক দম্পতি খুন হতে পারবে না? কাল্পনিক কাহিনি উল্লেখ করার পরেও যদি কোনও ঘটনার সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে ব্যাপারটা এমন, ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কলা খাই না টাইপ।’

নির্মাতা রায়হান রাফী

এই নির্মাতার প্রশ্ন, ‘তাহলে কি সিনেমায় কোনও মেয়ে গুম হয়ে খুন হলে তা কুমিল্লার তনুর সাথে মেলানো হবে? সিনেমায় কোনও কিশোরের লাশ নদীতে পাওয়া গেলে তার সাথে নারায়ণগঞ্জের ত্বকী হত্যাকাণ্ডকে মেলানো হবে?’

নির্মাতার দাবি, ‘অমীমাংসিত’ সিনেমায় কোনও বাস্তব ঘটনার কিছুই প্রমাণ করা হয়নি। রাফী বলেন, ‘সিনেমায় কোনও খুন দেখানো যাবে না, কোনও ধর্ষণ দেখানো যাবে না, কোনও অপহরণ দেখানো যাবে না, কোনও গুম দেখানো যাবে না। আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে। এখানে কোনও খুন হয় না, কোনও গুম হয় না, কোনও ধর্ষণ হয় না। এভাবেই হাত পা বেঁধে সাঁতার কাটতে হবে আমাদের দেশের সিনেমাকে।’

২৪ এপ্রিল সেন্সর বোর্ডের উপপরিচালক মো. মঈনউদ্দীন স্বাক্ষরিত চিঠিতে জানানো হয় ‘অমীমাংসিত’ ছাড়পত্র না দেওয়ার পেছনের চারটি উল্লেখযোগ্য কারণ। সেগুলো হলো-

১. চলচ্চিত্রটিতে নৃশংস খুনের দৃশ্য রয়েছে।
২. কাল্পনিক কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপের বিষয়বস্তু বাস্তবতার সঙ্গে মিল রয়েছে।
৩. এ ধরনের কাহিনি বাস্তবে ঘটেছে এবং ঘটনা সংশ্লিষ্ট মামলা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন।
৪. চলচ্চিত্রটির কাহিনি/বিষয়বস্তু বিচারাধীন মামলার সঙ্গে মিল থাকায় ভুল বার্তা দিতে পারে এবং তদন্তে বিঘ্ন ঘটাতে পারে।

ছবিটির মুখ্য চরিত্রে আছেন তানজিকা আমিন

এছাড়া সেন্সর বোর্ডের সদস্যগণ আরও মতামত দেন যে ‘দ্য কোড ফর সেন্সরশিপ অব ফিল্মস ইন বাংলাদেশ, ১৯৮৫-এর ১-এর ও, ঠ, ঠওও দফায় বর্ণিত উপাদানসমূহ চলচ্চিত্রটিতে বিদ্যমান থাকায় এটি জনসাধারণের মধ্যে প্রদর্শন উপযোগী নয়। তাই বাংলাদেশ সেন্সরশিপ আইনের বিধি ১৬(৫) মোতাবেক উক্ত চলচ্চিত্রের সেন্সর আবেদনপত্র নির্দেশক্রমে অগ্রাহ্য করা হলো।

তবে, এই সিদ্ধান্ত-পত্র প্রাপ্তির ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে ছবিটি প্রদর্শনের বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য সরকার বরাবর আপিল আবেদন করার সুযোগ রয়েছে প্রযোজক-পরিচালকদের। ফজলুল হক ইনস্টিটিউট অব মিডিয়া স্টাডিজের পক্ষে ছবিটির প্রযোজক শহিদুল আলম সাচ্চু। এটি ইমপ্রেস টেলিফিল্মের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আইস্ক্রিন-এর জন্য নির্মিত। ছবিটির মুখ্য চরিত্রে আছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ ও তানজিকা আমিন।

;

সিনেমা মুক্তির দিনই জেনডায়ার বিয়ের গুঞ্জন



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সিনেমা প্রকাশের দিনই জেন্ডায়ার বিয়ের গুঞ্জন

সিনেমা প্রকাশের দিনই জেন্ডায়ার বিয়ের গুঞ্জন

  • Font increase
  • Font Decrease

মুক্তি পাচ্ছে জেন্ডায়ার বহুপ্রতিক্ষীত সিনেমা চ্যালেঞ্জার্স। এই সিনেমায় দক্ষ টেনিস খেলোয়াড়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন জেনডায়া। বিশ্বব্যাপী জেন্ডায়া অভিনীত চ্যালেঞ্জার্স সিনেমা প্রকাশ পাচ্ছে ২৬ এপ্রিল। যদিও অস্ট্রেলিয়ার সিডনি এক মাস আগেই প্রকাশ করা হয়েছে। জেন্ডায়ার সাথে অভিনয় করেছেন জস ও'কনেল এবং মাইক ফেইস্ট৷ তবে একই দিনে টম হল্যান্ড ও জেন্ডায়ার বিয়ের গুঞ্জন আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে৷


গত বছর ১৫ সেপ্টেম্বর চ্যালেঞ্জার্স সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার ছিল৷ কিন্তু স্যাগ আফ্রার নির্দেশনায় অভিনেতা এবং লেখকদের ধর্মঘটের কারণে সিনেমা প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। তারিখ পেছাতে পেছাতে অবশেষে ২৬ এপ্রিল আনা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাই প্রকাশ করে হচ্ছে এই তারিখেই। তবে এইদিনেই গুঞ্জন এলো দীর্ঘদিনের প্রেমিক টম হল্যান্ডের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছেন এই তারকা।

ইন্টারনেটে হরহামেশাই একসাথে দেখা যায় টম-জেন্ডায়াকে। এছাড়া মার্ভেল সিনেমেটিভ ইউনিভার্সে পিটার পার্কারের প্রিয় বন্ধু নার্ড চরিত্রে অভিনয় করা জ্যাকবও তাদের খুব ভালো বন্ধু। ৩ জনকে শ্যুটিং এর বাইরেও দেখা যায় একত্রে সুন্দর সময় কাটাতে এবং মজা করতে।


২০১৬ সালে স্পাইডারম্যান ও হোমকামিং সিনেমায় একসাথে অভিনয় করেন দুই তারকা। এই সিনেমার সেটেই তাদের প্রথম দেখা হয়। সেখান থেকে ভালো লাগার শুরু হয় বলে ধারণা করা হয়। শ্যুটিং শুরু হওয়ার কিছুদিন পরই তাদের প্রেমের গুঞ্জন আসতে থাকে।

যদিও কোনো তারকাই এই নিয়ে কিছু বলেননি। সম্পর্কের কথা স্বীকারও করেন নি। অথবা এসব গুঞ্জন-এমন দাবিও কেউ কখনো তোলেননি৷ বরাবরই তাদের সম্পর্ক নিয়ে গোপনীয়তা বজায় রেখেছেন টম-জেন্ডায়া জুটি৷

সম্প্রতি তাদের ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে জানা যায়, সম্পর্ককে আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনায় আছেন তারা। খুব শিগগিরই নাকি তারা বিয়ে করার ঘোষণা দেবেন।


টম-জেন্ডায়া স্বীকার না করলেও তাদের প্রেমের সম্পর্ক থাকার সন্দেহ অনেক আগে থেকেই ছিল ভক্তদের মনে। ২০২১ সালে তাদের একত্রে দেখা যায়৷ সিনেমার শ্যুটিং এর বাইরেও টমের গাড়িতে দু'জন অভিনেতাকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় ক্যামেরাবন্দী করেন সাংবাদিকরা।

সেই থেকেই নেটিজেনদের সন্দেহ আরও জোরদার হয়। এমনিতেও এই জুটিকে বেশ পছন্দ করেন ভক্তরা। টম-জেন্ডায়াকে সেরা স্পাইডারম্যান ও এমজে জুটি হিসেবে বিবেচনাও করেন অনেকে। তাই পছন্দের এই যুগলের। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার গুঞ্জনে আপ্লুত হতে দেখা যায় অনেক ভক্তকে।

;