ফুলেশ্বরী নাম তার
কাজী নওশাবা আহমেদ, অভিনেত্রী।
সাত ভাই চম্পা এবং ওয়ান ওয়ে ধারাবাহিক নাটকে আপাতত নিয়মিত। ক’দিন পরেই নতুন ছবি বালিঘর-এর শুটিং। শেষ করলেন প্রথম ওয়েব সিরিজ অতঃপর জয়া’র কাজ।
ফুলেশ্বরী নাম তার। জীবিত না মৃত, এটা বোঝার উপায় নেই।
অতঃপর জয়া’য় নওশাবার চরিত্রটা এমনই। একটা সাসপেন্স তৈরি করে।
‘ইন ওয়ান সেন্স, এটা আসলে একটা ভূত.. আত্মা। এবং সে হচ্ছে এমন একটা আত্মা, যে কিনা কখনও মাতৃত্বের সুখ পায়নি; তার বাচ্চাটা মারা যায় বলে।’
বিজ্ঞাপন
বলছেন নওশাবা।
‘গল্পে জয়ার একই পরিণতি যেন না হয়, তার বাচ্চাটা যেন বেঁচে যায়; সেজন্য বিভিন্নভাবে ক্লু দিয়ে তাকে প্রটেক্ট করতে চায় ফুলেশ্বরী। কিন্তু আবার একটা সময় এটাও মনে হয় যে, জয়ার বাচ্চাটাকে বোধহয় ও মেরেই ফেলবে।’
ওয়েবসিরিজ এটাই প্রথম নওশাবার। নির্মাতা অরিফুর রহমান।
নওশাবা বলছেন-
‘অনেকদিন পর এমন একজন ম্যাচিওর নির্মাতার সঙ্গে কাজ করেছি। নতুনদের মধ্যে এমন ঠান্ডা মাথার নির্মাতা আমি আর দেখিনি। ওর দৃষ্টিভঙ্গিটাই আলাদা। কাজের নিজস্ব একটা স্টাইল আছে। ও কারোর মতো না। ওর গল্প বলার ভঙ্গি, রচনাটাও খুব ইন্টারেস্টিং।’
সচেতনতামূলক ওয়েব সিরিজ অতঃপর জয়া।
অথচ, এটায় কাজ করতে গিয়ে নওশাবার মনে হচ্ছিলো যে, ‘একটা ফিল্ম করতেছি’।
নওশাবা বলছেন-
‘এটা খুব রেয়ার। আমি তো একটা ক্যারেক্টারের মধ্যে বাস করতে চাই, ও আমাকে এই সুযোগটা করে দিয়েছে। খুব কম নির্মাতাই আছেন, যারা এই আত্মবিশ্বাসটুকু একজন অভিনেত্রীকে দেন। ও অনেক দূর যাবে।’
সচেতনতামূলক কাজগুলো মানুষ গ্রহণ করে এবং শিক্ষা নেয় সেসব থেকে। নওশাবার অভিজ্ঞতা তাই বলে।
কিন্তু মেকিংটা হতে হবে ভিন্ন।
নওশাবা বলছেন-
‘কাউকে কিছু শেখাতে মাস্টারনিদের মতো বসলে এখনকার দর্শকরা নেবে না। কারণ এই ইউটিউবের যুগে সকল কিছুর দুয়ার খোলা। জ্ঞান দেওয়া শুরু করলেই সরে যাবে দর্শক। অথচ খুব সুন্দর এবং শৈল্পিকভাবে এন্টারটেইন করতে করতে শিখিয়ে দিলেই হয়। যেটা রাজকুমার হিরানি করে।’
অরিন্দম শীলের ‘বালিঘর’ ছাড়াও নতুন একটা চলচ্চিত্র অভিনয়ের কথা চলছে নওশাবার। ক’দিন পরেই সেটা সবাইকে জানাবেন তিনি।
ইদে দুইটা শর্টফিল্মে দেখা যাবে তাকে।
[ছবিঃ নূর]
আরও পড়ুনঃ
শুটিং বন্ধ রেখে তারাও আন্দোলনে
প্রীতম-প্রতীকের ‘গার্লফ্রেন্ডের বিয়া’
আগস্টের বলিউড..
তিশা’র ‘অতঃপর জয়া’