প্রেমিক যুগল ঠেকাতে হাতিরঝিলে কাঁটাতার!
ঢাকা: হাতিরঝিলে প্রেমিক-প্রেমিকা জুটির আপত্তিকর অবস্থা এড়াতে ‘কাঁটাতারের বেড়া’ দেওয়া হচ্ছে। ব্রিজের ওপর সন্ধ্যার আগে ও পরে প্রেমিক জুটির দাঁড়ানো ঠেকাতেই এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়েছেন প্রকল্প কর্মকর্তা মেজর সাদিক শাহরিয়ার।
মঙ্গলবার (৫ জুন ) দুপুরে বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, ‘অবৈধ বাইক পার্কিং করে আপত্তিকর অবস্থায় তারা দাঁড়িয়ে থাকে। এক্সপ্রেসওয়ের ওপর এভাবে দাঁড়ানো বা পার্কিং সম্পূর্ণ নিষেধ। বারবার তাদের বলেও কাজ হয়নি। এ কারণে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হলো।
এ পদ্ধতিতে কাজ হলে হাতিরঝিলের সবগুলো ব্রিজের দু‘পাশে কাঁটাতার জড়িয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান মেজর শাহরিয়ার।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাতিরঝিলের আড়ং শো-রুম সাইডে যে ব্রিজ তার ওপর এরকম কাঁটাতার জড়িয়ে দেওয়া। এ অবস্থায় রেলিংয়ে ঠেস লাগিয়ে বা হেলান দিয়ে কেউ দাঁড়াতে পারবে না।
মেজর শাহরিয়ার জানান, একটা ব্রিজে পরীক্ষামূলকভাবে দেওয়া হলো। আমরা দেখছি, এটা সফল হলে অন্যগুলোতে দেওয়া হবে।
২০১৩ সালের ২ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকায় হাতিরঝিল প্রকল্প জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এর ফলে ঢাকার তেজগাঁও, গুলশান, বাড্ডা, রামপুরা, মৌচাক ও মগবাজারের এলাকার বাসিন্দাসহ এ পথ দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীরা বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন। হাতিরঝিল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও তদারকি করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর 'স্পেশাল ওয়ার্কস অরগানাইজেশন' (এসডব্লিউও)। এ প্রকল্পের অন্যতম মূল লক্ষ্য বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, জলাবদ্ধতা ও বন্যা প্রতিরোধ, ময়লা পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন, রাজধানীর যানজট নিরসন এবং শ্রী বৃদ্ধি করা।
রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত হতে নির্মল পরিবেশে একটু প্রশান্তির পরশ পেতে হাতিরঝিলে ভিড় জমান মানুষ। তবে সন্ধ্যার পর প্রেমিক যুগলদের আনাগোনাই বেশি। অনেক সময় এই প্রেমিক যুগলদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায়। অন্য পথচারী বা চলাচলকারীদের কাছেও যা দৃষ্টিকটু লাগে। হাতিঝিলের পরিবেশকে বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে এড়াতেই এই কাঁটাতারের উদ্যোগ সংশ্লিষ্টদের।