রাগের সময় নিজেকে সামলাবেন যেভাবে

  • ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেস্পন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

রাগের বশবর্তী হয়ে করে ফেলতে পারেন অনাকাঙ্ক্ষিত কোন কাজ

রাগের বশবর্তী হয়ে করে ফেলতে পারেন অনাকাঙ্ক্ষিত কোন কাজ

ভালোলাগা, খারাপ লাগা, আনন্দ, কষ্টর মতো রাগও খুব সহজাত একটি অনুভূতি।

তবে রাগ হলো খুবই নেতিবাচক একটি অনুভূতি যা একজন মানুষের মানবিক গুণাবলীকে অনেকাংশে ঢেকে ফেলতে পারে। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক ক্ষেত্র, কর্মক্ষেত্র, সম্পর্ক, বন্ধুত্ব কিংবা কারোর সাথে ভালো সম্পর্কও মুহূর্তে নষ্ট হয়ে যেতে পারে রাগের বশে বলে ফেলা কোন কথা কিংবা কোন কাজের জন্য। অন্যান্য অনুভূতির মতোই রাগ দেখা দেবে। তবে রাগের সময়ে নিজেকে কীভাবে সামলে রাখা সম্ভব হবে, সেটাই মুখ্য বিষয়। প্রতিদিনের জীবনে নিজেকে সামলে রাখতে তাই জেনে নিন রাগের সময়ে নিজেকে সামলে রাখার কয়েকটি উপযুক্ত পদ্ধতি।

গভীরভাবে নিঃশ্বাস নেওয়ার অনুশীলন করা

কোন কারণে হুট করে অতিরিক্ত রাগ দেখা দিলে গভীরভাবে নিঃশ্বাস নেওয়ার অনুশীলনটি চমৎকার কাজ করবে। রাগের ফলে খুব সহজেই শরীরের পেশী শক্ত হয়ে যায়। তাই রাগকে বাড়তে না দিয়ে কিছুক্ষণ নিজেকে সময় দিয়ে গভীরভাবে শ্বাসপ্রশ্বাসের অনুশীলন শরীর ও মনকে সহজ হতে সাহায্য করবে।

বিজ্ঞাপন

সংখ্যা গণনা

রাগের সময় সংখ্যা গণনা বেশ পুরনো ও কার্যকরি একটি পদ্ধতি। রাগ দ্রুত কমাতে সংখ্যা গণনা শুরু করলে মনোযোগ অন্যদিকে কাজ করে। এতে করে রাগের প্রভাব কমে যায় এবং রাগের ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ থেকে নিজেকে দূরে রাখা সম্ভব হয়।

বর্তমানে ফোকাস করা

যখনই রাগ দেখা দিবে বর্তমান সময়ের প্রতি নিজের মনোযোগকে নিবন্ধ করার চেষ্টা করতে হবে। খেয়াল করে দেখবেন, অতীতের কোন ঘটনার সূত্র থেকে রাগ দেখা দেয় বেশিরভাগ সময়। এ সময়গুলোতে অন্যদিক তথা রাগের বিসয়বস্তু থেকে মনোযোগ সরাতে বর্তমান ঘটনা প্রবাহে মনোযোগ দেওয়া খুব জরুরি।

বিজ্ঞাপন

পছন্দের গান শোনা

কোন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রচণ্ড রাগ তৈরি হলে নিজেকে ঠাণ্ডা করার জন্য পছন্দের গান শোনা শুরু করতে হবে। গানের সুর ও তাল নার্ভকে দ্রুত শান্ত করতে, মনোযোগ অন্যদিকে ফেরাতে কাজ করে। পছন্দের গান মনের অসন্তোষভাবকে খুব সহজেই সরিয়ে দেয়।

আরও পড়ুন: রৌদ্রজ্জ্বল দিনের শুরুটা হোক সচেতনতায়

আরও পড়ুন: ব্যস্ততার মাঝে একটু প্রশান্তি