মুক্তিযুদ্ধে ১৬ জন নিহত, শহীদের মর্যাদা চান কোহিনুর ভিলার সদস্যরা



এসএম জামাল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, কুষ্টিয়া
কোহিনুর ভিলা। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

কোহিনুর ভিলা। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের পানি ও খাবার দিয়ে সহযোগিতা করেছিল কুষ্টিয়া শহরের দেশওয়ালীপাড়ার কোহিনুর ভিলার সদস্যরা। আর এ কারণে ওই পরিবারের ১৬ সদস্যকে ১৯৭১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছিল রাজাকার আলবদর ও আলশামস বাহিনীর সদস্যরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোহিনুর ভিলার সামনে মুক্তিযোদ্ধা মনোগ্রাম খচিত একটি সাইনবোর্ডে নিহত ১৬ জনের নাম লেখা রয়েছে। ভেতরে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ল দীর্ঘদিনের পুরোনো ওই বাড়ির জরাজীর্ণ অবস্থা। একতলা বাড়িটির ছাদে টিন, রেলের পাত ও শালকাঠের পিলার দেয়া। সেসবসহ পলেস্তারা খসে পড়ছে। তবে বাড়িটি বসবাসের অযোগ্য হলেও জোড়াতালি দিয়ে কোনো রকমে বসবাস করছে পরিবারের সদস্যরা।

এছাড়াও কোহিনুর ভিলার পেছনে ১৬ জনের গণকবরটিও রয়েছে অযত্ন আর অবহেলায়। বছরের আজকের দিনটিতে কেবল পরিবারের পক্ষ থেকে মিলাদ মাহফিল করা হয়ে থাকে। তবে মুক্তিযুদ্ধ সংসদ কিংবা প্রশাসনের আয়োজনে কোনো অনুষ্ঠান বা শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় না।

 ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

 

কোহিনুর ভিলার সদস্য আব্দুল হালিম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ১৯৭১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে কোহিনুর ভিলার ১৬ সদস্যকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছিল রাজাকার আলবদর ও আলশামস বাহিনীর সদস্যরা। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের পানি ও খাবার দিয়ে সহযোগিতা করার কারণে তাদের হত্যা করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের গণকবর দেয়। হত্যার শিকার ওই ১৬ সদস্যের মধ্যে কোহিনুর ভিলার গৃহকর্তাসহ তার স্ত্রী-সন্তান, কর্মচারী, আত্মীয় ছিল।

তিনি বলেন, ‘কোহিনুর ভিলার সামনে মুক্তিযোদ্ধা মনোগ্রাম খচিত ওই সাইনবোর্ডটি দেখে মানুষ মনে করে আমরা সরকারিভাবে অনেক সহযোগিতা পেয়ে থাকি। কিন্তু আমাদের কোনো সহযোগিতা করা হয় না। আমাদের থাকার ঘরের পরিবেশ নেই এবং সেই গণকবরটিও অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে আছে।’

তিনি সরকারের কাছে দাবি করে বলেন, ‘কোহিনুর ভিলার নিহতদের যেন শহীদের মর্যাদা দেয়া হয়। আমরা পরিবারের সদস্যরা সেই অপেক্ষাতে আছি।’

কুষ্টিয়া জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার হাজী রফিকুল আলম টুকু বলেন, ‘এই কোহিনুর ভিলা রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। এই বাড়িসহ গণকবরটি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা হচ্ছে। আশা করি আমরা স্মৃতি সংরক্ষণ করতে সক্ষম হব। ওই পরিবারের একজনকে আমরা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করব। আর ওই নিহত ১৬ জনকে শহীদ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া যায় কিনা সে ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

 

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;