বিআরটিসির বহরে যুক্ত হতে অপেক্ষমান ৬১ বাস

  • তৌফিকুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিআরটিসির চক্রাকার এসি বাস, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

বিআরটিসির চক্রাকার এসি বাস, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

রাজধানীর গণ-পরিবহনের চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশন (বিআরটিসি) কর্তৃপক্ষ ভারত থেকে ৬০০টি নতুন বাস ও ৫০০টি ট্রাক আমদানি করেছে। যার মধ্যে ৫০০টি ট্রাক এবং ৫৩৯টি বাস আমদানি করা হয়েছে। বাকি ৬১টি বাস শিগগিরই বহরে যুক্ত হবে বলে বিআরটিসি সূত্রে জানা গেছে।

কয়েক ধাপে ভারত থেকে আমদানি করা এসব বাস এবং ট্রাক বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়েছে। ভারতের অশোক লিল্যান্ড কোম্পানির কাছ থেকে এসব বাস ক্রয় করা হয়েছে। আমদানি করা বাসের মধ্যে রয়েছে এসি, ননএসি ও ডাবল ডেকার বাস।

বিজ্ঞাপন

বিআরটিসি সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে আমদানি করা ৫৩৯টি বাসের মধ্যে ২৬৩টি বিআরটিসির স্টকে আছে এবং বাকি ২৭৬টি বাস বিভিন্ন রুটে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৫০০টি ট্রাকের মধ্যে ৪টি ট্রাক বিআরটিসি'র স্টকে আছে। বাকি ৪৯৬টি ট্রাক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বিআরটিসির চক্রাকার এসি বাস

 

বিজ্ঞাপন

বর্তমানে বিভিন্ন রুটে বিআরটিসির মোট বাসের সংখ্যা এক হাজার ৬০৪টি। এর ভেতরে সংস্কারের উপযোগী নষ্ট বাস আছে ২৪২টি এবং ভারী মেরামত অর্থাৎ একেবারেই সংস্কারের অনুপযোগী হয়ে আছে ২৫৪টি বাস। এদিকে, বিভিন্ন রুটে বিআরটিসির ২১টি মহিলা বাসও চলাচল করে।

বিআরটিসির বিভিন্ন বাস ডিপো ঘুরে জানা গেছে, আমদানি করা নতুন বাসের মধ্যে ডাবল ডেকার বাসের আসন সংখ্যা ৭৫টি। একতলা এসি সিটি সার্ভিস বাসের আসন সংখ্যা ৫২টি, একতলা এসি ইন্টারসিটি বাসের আসন সংখ্যা ৪৫টি এবং একতলা ননএসি বাসের আসন সংখ্যা ৪৫টি।

মোহাম্মদপুর টু আজিমপুর রুটের চক্রকার এসি বাস সার্ভিসের গাড়ি চালক মাসুদুর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘দুই মাস আগে বিআরটিসিতে চাকরি নিয়েছি। ঠিকমতো বেতন পাই না। আবার রাস্তায় গাড়ি নষ্ট হলে খরচ ড্রাইভারকে বহন করতে হয়। ভারত থেকে আমদানি করা গাড়িগুলোর মান খুব ভালো না।’

পুরনো বিআরটিসি বাস

 

মতিঝিল বাস ডিপোর ম্যানেজার নায়েব আলী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘আমদানি করা ৬০০টি বাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মতিঝিল ডিপোতে। সেখানে ৫১টি বাসের মধ্যে পাঁচটি বাদে সবগুলোই চলে এসেছে। এরমধ্যে ডাবল ডেকার বাস ২০টি ও এসি বাস ৩১টি। তবে ড্রাইভার সংকট থাকায় প্রতিদিন ৮-১০টি গাড়ি ডিপোতেই পড়ে থাকে। আমাদের নতুন চেয়ারম্যান কর্মচারীদের বকেয়া বেতন পরিশোধ নিয়ে কাজ করছেন।’