বিচারকের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ

৭ দিন আদালত বর্জনের ঘোষণা রাজশাহীর আইনজীবীদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রাজশাহী
রাজশাহী জেলা জজ কোর্ট, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

রাজশাহী জেলা জজ কোর্ট, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

এজলাসে আইনজীবীদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে সাত কার্যদিবস দুটি আদালত বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে রাজশাহী অ্যাডভোকেট বার অ্যাসোসিয়েশন।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজশাহী পুরনো বার অ্যাসোসিয়েশন ভবনের সভাকক্ষে সংগঠনের সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট লোকমান আলী মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'সম্প্রতি রাজশাহী চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নুরুল আলম মোহাম্মদ বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান খাঁনকে এজলাস চলাকালে অসদাচরণ করেন। তার আগে রাজশাহী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজেস্ট্রেট আদালতে প্রায় একইভাবে বারের সদস্য অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক মানুর সঙ্গে অসদাচরণ করেন বিচারক মেহেদী হাসান। ওই দুজন বার অ্যাসোসিয়েশনে লিখিত অভিযোগ দেন।'

তিনি বলেন, 'অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে বিষয়টি তদন্ত করেছি। তাতে ওই দুই আইনজীবীর সঙ্গে এজলাসে অসদাচরণ করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সাধারণ সভার আলোচ্যসূচিতে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত ছিল। সেটি নিয়ে সভায় আলোচনা শেষে সর্বসম্মতিক্রমে আগামী ৭ কার্যদিবস চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সব ধরনের বিচারিক কার্যক্রমে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকবে বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা।'

সভায় আদালত বর্জনের পাশাপাশি আগামী এক মাসের মধ্যে আদালত দু'টির ওই দুইজন বিচারকের প্রত্যাহার করার দাবি করা হয়। এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের অনুলিপি আইন, বিচার ও সংসদ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, রাজশাহী জেলা জজ, মহানগর দায়রা জজ বরাবর প্রেরণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করা হবে।

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট ইয়াহিয়া, রাজশাহী বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট একরামুল হক, সহ-সভাপতি সুনির্মল সাহা, এন্তাজুল হক বাবু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শিরাজী শওকত সালেহীন প্রমুখ।

   

ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস ‘রিচার্জ’ প্রত্যাহারের নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস ‘রিচার্জ’ প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

রোববার (১৯ মে) বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবার এ নির্দেশ দেন। 

একইসঙ্গে ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস ‘রিচার্জ’ -এর মালিক গোলাম মোস্তফাকে ১২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার (১৪ মে) বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ক্ষমতাপ্রাপ্ত নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. কামরুল হোসেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বাজারে বিক্রি হওয়া অনুমোদনহীন পাঁচটি কোম্পানির ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকসের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এসএমসি প্লাস, প্রাণের এক্টিভ, ব্রুভানা, রিচার্জ ও টারবোর ড্রিংকসের মালিককে তলব করেন আদালত।

;

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের সম্প্রসারণ চায় কানাডা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের সম্প্রসারণ চায় কানাডা বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু

রোববার (১৯ মে) সচিবালয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কানাডার ইন্দো-প্যাসি‌ফিক বা‌ণিজ্য প্রতি‌নি‌ধি পল থো‌পিলের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।সাক্ষাৎ শেষে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী একথা জানান।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশে (এলডিসি) উত্তরণ হতে যাচ্ছে। বাজার সুবিধা পেতে বিভিন্ন দেশের সাথে বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ-জাপান ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট নেগোসিয়েশন আজ শুরু হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে আসিয়ান দেশগুলোর সাথে সম্পর্কোন্নয়নে কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

ইন্দো-প্যাসি‌ফিক বা‌ণিজ্য প্রতি‌নি‌ধি পল থো‌পিল বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশ-কানাডার মধ্যকার সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ। বিনিয়োগকারী কোম্পানিগুলোকে বিনিয়োগে আগ্রহী করতে বাংলাদেশের সাথে চুক্তি সম্পন্ন করতে চায় কানাডা। অবকাঠামোগত প্রকল্প, সাইবার নিরাপত্তা একইসাথে তৈরি পোশাক খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী কানাডা। ক্যানোলা তেল রফতানি হতে পারে এদেশে, এ তেলের ফ্যাক্টরি এখানে স্থাপন হলে তেল প্রক্রিয়া করা আরও সহজ হবে বলে জানান তিনি।

এসময় বাংলাদেশে কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকলস, কমার্সিয়াল কাউন্সিলর দেবরা বইয়েস, এশিয়া-প্যাসিফিক ভাইস-প্রেসিডেন্টের চিফ স্টাফ ব্র‍্যাড কোয়েল, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (ডিজি) খন্দকার মাসুদুল আলম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নাহিদ আফরোজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, আজ সকালে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে বাংলাদেশ-জাপান ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট নেগোসিয়েশনের প্রথম পর্ব শুরু হয়েছে। এসময় দু'দেশের বাণিজ্যিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নেগোসিয়েশন হবে, যা শেষ হবে বৃহস্পতিবার (২৩ মে)।

;

কালশীতে পুলিশ বক্সে আগুন, গুলিবিদ্ধ ১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের প্রতিবাদে রাজধানীর মিরপুরের কালশীতে পুলিশের সঙ্গে অটোরিকশা চালকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এক পর্যায়ে কালশী মোড়ের ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এবং বন্ধ রয়েছে যান চলাচল

রোববার (১৯ মে) বিকেল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে কালশী মোড়ে অবস্থিত ট্রাফিক পুলিশের বক্সে আগুন দেয় আন্দোলনকারীরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেসুর রহমান বলেন, কালশীতে আন্দোলনকারীরা সহিংস আন্দোলন করছে। তারা কালশী মোড়ে অবস্থিত একটি পুলিশ বক্সে আগুন দিয়েছে। এটি ট্রাফিক পুলিশের একটি বক্স। আমরা ঘটনাস্থলে আছি, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি।

এর আগে অটোরিকশা চালকরা এ সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া মিরপুর বেনারসি পল্লীর ৪ নম্বর সড়কে অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সেখানে কয়েকট গাড়িও ভাঙচুর করে অটোরিকশা চালকরা। এ সময় বাসে থাকা যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে বাস থেকে নেমে পড়েন। 

দুপুর সোয়া একটার দিকে অটোরিকশা চালকরা কালশী সড়ক আটকে দিয়ে যানচলাচল বন্ধ করে দেয়। এ সময় অনেকের হাতে লাঠি দেখা যায়। তারা গাড়ি ভাঙচুর করতেও উদ্যত হয়। তারা সড়কের মাঝখানে রশি টানিয়ে দিয়ে যানচলাচল বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সড়কে তারা গাড়ি আড়াআড়িভাবে রাখতে বাস চালকদের বাধ্য করেন। এতে ওই সড়ক ব্যবহারকারী হাজার হাজার যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েন। গন্তব্যে যেতে মানুষজনকে পায়ে হেঁটে রওনা দিতে দেখা যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বরে পুলিশ একপাশ দিয়ে বাস ছেড়ে দিলেই উত্তেজিত অটোরিকশার চালকেরা লাঠি ও ইট-পাটকেল ছুড়ে বাসে ভাঙচুর চালায়। ওই সময় বাসে থাকা যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে দ্রুত নেমে পড়েন। দুপুরের ওই ঘটনার সময় আন্দোলনকারীরা মিরপুর-১০ নম্বরে বিআরটিসি ও আলিফ পরিবহন ছাড়াও কয়েকটি বাসে ভাঙচুর চালান।

এদিকে, গণপরিবহনে ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন মিরপুর জোনের ডিসি জসিম উদ্দিন। তিনি বলেছেন, ভাঙচুরের সঙ্গে যারা জড়িত, সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। পুলিশ অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। আন্দোলনকারীদের শান্তিপূর্ণভাবে সরিয়ে দিলেও পরে তারা আবারও ভাঙচুর চালায়। এদের পেছনে কেউ আছে কিনা, সেটিও খতিয়ে দেখা হবে।

;

চুয়াডাঙ্গায় নকল স্যালাইন জব্দ, দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় নকল ওরস্যালাইন বিক্রির অপরাধে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রোববার (১৯ মে) দুপুরে আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়িয়া ও হাটবোয়ালিয়া এলাকায় অভিযান চালান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সহল আহমেদ। অভিযানে সার-কীটনাশক, মুদি দোকান, স্যালাইনসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠানে তদারকি করেন তিনি।

অভিযান সূত্রে জানা যায়, ভাংবাড়ীয়া এলাকায় মেসার্স মারিফুল স্টোর নামক প্রতিষ্ঠানে তদারকিকালে এসএমসির ওরস্যালাইন এন-এর নকল স্যালাইন বিক্রয়ের প্রমাণ পাওয়া যায়। এসময় প্রায় ১ কার্টুন (৫০০ প্যাকেট) নকল স্যালাইন জব্দ করা হয়। এছাড়া অতিরিক্ত মূল্যে সার বিক্রয় ও সারের ক্রয়-বিক্রয় রসিদ সংরক্ষণ না করার অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো. মারুফুল ইসলামকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪১ ও ৪৫ ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

পরবর্তীতে মারুফুলকে নিয়ে তার দেওয়া তথ্যমতে নকল ওরস্যালাইন-এর সাপ্লায়ার মেসার্স লিটন স্টোর নামক প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। তবে প্রতিষ্ঠানটির মালিক লিটনুজ্জামান প্রথমে নকল স্যালাইন বিক্রয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে তার বাড়ি ও গোডাউন তল্লাশি করতে চাইলে এক পর্যায়ে তিনি নকল স্যালাইন বিক্রয়ের বিষয়টি স্বীকার করেন।

পরে তার দেওয়া তথ্যমতে তার বাড়ি থেকে ৬ কার্টুন (৩ হাজার প্যাকেট) নকল এসএমসির ওরস্যালাইন এন জব্দ করা হয়। নকল ভেজাল স্যালাইন বিক্রয়ের অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক লিটনুজ্জামানকে ৪১ ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং জব্দ করা নকল স্যালাইন আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ জানান, সবাইকে যথাযথভাবে আইন মেনে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে। প্রতিনিয়ত জেলার বিভিন্ন স্থানে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে। এসময় কোনো পণ্য ক্রয়ের আগে ভালো করে যাচাই-বাছাই করে কেনার জন্য ভোক্তাদের অনুরোধ করেন। অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতায় ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি টিম।

;