রাজধানীতে নজর কেড়েছে নতুন দুই স্তম্ভ
শহরের ভাস্কর্য, দেয়ালটিত্র কিংবা স্তম্ভগুলো নগরের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির পাশাপাশি ঐতিহ্যের সাক্ষী। শহর-বন্দরে নির্মিত এসব স্থাপনা ইতিহাস এবং সংস্কৃতি প্রচারের এক কার্যকরী উপায়। হাল সময়ে এগুলোতে প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে। তাতে শিল্পটি অভূতপূর্বভাবে মানুষের মনে সাড়া দিচ্ছে। ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ, সমসাময়িক বিশ্বের বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে নির্মিত ভাস্কর্য কিংবা স্তম্ভগুলোর নান্দনিক রূপ এর প্রমাণ।
সম্প্রতি রাজধানীতে এমনই একটি স্তম্ভ উদ্বোধন করা হয়েছে। যার নান্দনিকতা, আবেদন ও সমসাময়িক গুরুত্ব অন্য অনেক ভাস্তর্য কিংবা স্তম্ভ থেকে আলাদা। ফলে দ্রুততম সময়ে এ স্তম্ভগুলো নগরবাসীর নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে। রাজধানীর মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন মোড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে আল্লাহতায়ালার ৯৯টি গুণবাচক নাম সম্বলিত স্তম্ভ ‘দ্যা গ্লোরী অব বঙ্গবন্ধু’ নির্মিত হয়েছে।
রায়েরবাজারে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ কবরস্থান নির্মাণ করে দেওয়ায় মোহাম্মদপুরবাসীর পক্ষে এই স্তম্ভটি নির্মাণ করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ৩৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তারেকুজ্জমান রাজিব।
আল্লাহতায়ালার নাম সম্বলিত স্তম্ভ নির্মাণকে স্বাগত জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর মতে, এটি একটি ভালো উদ্যোগ। ঘর থেকে বের হয়ে মানুষ এটা দেখে আল্লাহর নাম স্মরণ করবে।
কাউন্সিলর তারেকুজ্জমান রাজিবের উদ্যোগে এর আগে শিয়া মসজিদ সংলগ্ন চৌরাস্তায় আরেকটি স্তম্ভ নিমার্ণ করা হয়। ওই স্তম্ভের নাম- ‘দ্য গ্লোরি অব নামিরা’। এটি রাতের বেলা অনন্য রূপ ধারণ করে। এই স্তম্ভটির কারুকাজ করা হয়েছে, আল্লাহতায়ালার গুণবাচক নামের ক্যালিওগ্রাফি দিয়ে।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর রাজিবের গণমাধ্যমকে বলেন, মোহাম্মদপুর ঐতিহ্যগতভাবেই একটি মুসলিম নাম। সেই এলাকায় ইসলামের আবহ ছড়িয়ে দিতেই এমন উদ্যোগ।