সন্দেহজনকভাবে ১০ কোটি টাকা লেনদেন-দুদকের মামলা 

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্নীতি দমন কমিশন-ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতি দমন কমিশন-ছবি: সংগৃহীত

দি ফারমার্স ব্যাংক লিঃ, টাঙ্গাইল শাখার কথিত গ্রাহক আরসিএল প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ'র নামের হিসাবে সন্দেহজনক মোট ৯ কোটি ২৮ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ টাকা লেনদেন হয়েছে। টাকার কোন বৈধ উৎস দেখাতে না পারায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন- ২০১২ এর ৪ ধারাতে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদক বলছে, ব্যাংকিং বিধি বিধানের তোয়াক্কা না করে জমা করা, এই টাকার কোন বৈধ উৎস নেই। এ ঘটনায় দুদকের উপসহকারি পরিচালক (মানিলন্ডারিং) মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলা করে, মামলা নং ২১। 

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা২৪.কমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।

দুদক সূত্রে জানা যায়, দি ফারমার্স ব্যাংক লিঃ বকশীগঞ্জ শাখার মাধ্যমে ৪ কোটি ও মিরপুর শাখার মাধ্যমে ৫৪ লাখ টাকা জমা করে। তাছাড়া গত বছর নভেম্বর মাসে টাঙ্গাইল শাখায় নগদ ২ কোটি ৬৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা এবং একই মাসে আবার ২ কোটি ১০ লাখ ২ হাজার ৫০০ টাকা মিলে সর্বমোট ৯ কোটি ২৮ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ টাকা জমা করে।

দুদক সূত্রটি আরও জানায়, ব্যাংকের সার্কুলার মোতাবেক এসটিআর না করাসহ, ব্যাংকিং বিধি বিধানের তোয়াক্কা না করে ব্যাংকে টাকা জমা করে তারা। পরবর্তীতে বর্ণিত অর্থের অবৈধ প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন করলে, ঘটনাটি মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২'র ৪ ধারার শাস্তিযোগ্য অপরাধের মধ্যে পড়ে।

দুদক বলছে, এ ঘটনায় ৪ জনকে আসামি করে আজই মামলা করা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন, (১) রাশেদুল হক চিশতী (৩০)  প্রোপ্রাইটর: মেসার্স আর সি এল প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ। (২) ফেরদৌস জুবায়েত ইসলাম ভূইয়া (৫১) প্রোপ্রাইটর: এসটুআরএস করপোরেশন। (৩) সাজলী শবনব (৩৫) এক্সিকিউটিভ অফিসার, দি ফারমার্স ব্যাংক লিঃ, গুলশান কর্পোরেট শাখা,ঢাকা; সাবেক এক্সিকিউটিভ অফিসার ও ম্যানেজার দি ফারমার্স ব্যাংক লিঃ, বকশীগঞ্জ শাখা। (৪) সোহেল রানা (৩৫) এসিস্ট্যান্ট অফিসার, দি ফারমার্স ব্যাংক লিঃ, বগুড়া শাখা, সাবেক ব্যবস্থাপক, দি ফারমার্স ব্যাংক লিঃ, টাঙ্গাইল শাখা। 

এদিকে রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) সেগুনবাগিচায় অবস্থিত জাতীয় রাজস্ব ভবনের সামনে থেকে দুদকের পরিচালক কাজী শফিকুল আলমের নেতৃত্বে ২ নং আসামি ফেরদৌস জুবায়েত ইসলাম ভূইয়াকে গ্রেফতার করা হয়। অন্যদিকে ১ নং আসামি রাশেদুল হক চিশতী অন্য একটি মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেলে রয়েছেন।