পদ্মার ভাঙন রোধে ১০৭৮ কোটি টাকার প্রকল্প

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পদ্মার ভাঙন-ছবি: সংগৃহীত।

পদ্মার ভাঙন-ছবি: সংগৃহীত।

শরীয়তপুর জেলার জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলায় পদ্মা নদীর ভাঙন রোধে এক হাজার ৭৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকার প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। এ সংক্রান্ত ক্রয় প্রস্তাবেও অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বিজ্ঞাপন

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোছাম্মদ নাসিমা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নাধীন ‘শরীয়তপুর জেলার জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলায় পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা’ শীর্ষক প্রকল্পের কাজ শিগগিরই শুরু হবে। এ প্রকল্পের আওতায় ৮ দশমিক ৯০ কিলোমিটার নদীতীর সংরক্ষণ, ৯ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার ড্রেজিং, ০.০৮৯ কিলোমিটার ইন্ড টার্মিনেশন এবং ৮টি আরসিসি পাকা ঘাট নির্মাণ করা হবে। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে এক হাজার ৭৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিডেট।’

প্রসঙ্গত, গত সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রীসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় নদী ভাঙন বিষয়ে পূর্বপ্রস্তুতি না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধনমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে নদীভাঙন কবলিত এলাকার সংসদ সদস্য, সংশিষ্ট মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভাদ্র মাসে নদীতে পানির টান পড়ে। তাই এ সময় নদীভাঙন শুরু হয়। তবে আগে থেকে বুঝা যায় না কোন এলাকায় নদীভাঙন হবে। তারপরও যেসব এলাকা নদীভাঙন কবলিত বলে চিহ্নিত সেসব এলাকায় পূর্ব প্রস্তুতি নেয়া উচিত ছিল। কিন্তু সেরকম প্রস্তুতি নেয়া হয়নি।’

এমনকি নদীভাঙন বিষয়ে তাকে অবহিত না করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা দিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরে শরিয়তপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক নদীভাঙন শুরু হয়েছে। শরীয়তপুরে এখনও অব্যাহত রয়েছে পদ্মার ভাঙন। গত দেড় বছরে পদ্মার ভাঙনে সেখানে নিঃস্ব হয়েছে ৫ হাজার ৮১টি পরিবার, ঝুঁকিতে রয়েছে আরো ৮ হাজার পরিবার। ভাঙনে নড়িয়ার কেদারপুর, মোক্তারের চর ইউনিয়ন ও নড়িয়া পৌরসভা এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এছাড়া উত্তারাঞ্চলে বেশ কয়েকটি এলাকায় নদীভাঙনে বহু পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব এলাকায় সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ হাজার হাজার ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। হাজার হাজার পরিবার নিঃস্ব হয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে।