দেশে ৬০ শতাংশ মানুষের আবাসন আছে: অর্থমন্ত্রী

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত

দেশের অনেক উন্নতির পরেও আবাসন ক্ষেত্রে আমরা এখনো অনেক পিছিয়ে আছি। শিক্ষা ক্ষেত্রে আমাদের অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর মাধ্যমে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। কিন্তু আবাসনে আমরা অনেক পিছিয়ে। বর্তমানে দেশে ৬০ শতাংশ মানুষের আবাসন আছে। এখন আবাসনে একটু গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহ ঋণ প্রদান কার্যক্রম শুরু উপলক্ষে এক চুক্তি অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এসব কথা বলেন। এসময় একটি ফাইন্যান্স কোম্পানি ও চারটি সরকারি ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি হয় সরকারের। মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তা ব্যক্তিরা এ চুক্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

এসময় মন্ত্রী বলেন, আবাসনে উন্নতির অংশ হিসেবে আমরা সরকারি কর্মকর্তাদের হোম লোন ব্যবস্থা চালু করছি। এটি অন্যতম উদ্যোগ। বর্তমানে দেশে ৬০ শতাংশ মানুষের আবাসন আছে। বাকিরা যে যার মতো করে কোনরকম কষ্ট করে থাকে। তবে আমরা যখন দেশের অভ্যন্তরে প্লেনে করে ঢাকায় আসি, তখন দেখি সিলভার রিভিউ দেখা যায়। সব জায়গায় সিলভার সিআই সিট দেখা যায়। এতে বোঝা যায় আমাদের যে উন্নয়নটা হয়েছে সেটা সর্বব্যাপীই হয়েছে। সেটা শুধু শহরে হয়েছে তা নয়, গ্রামেও উন্নতি হয়েছে।

অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের গৃহ ঋণ দেওয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে সরকারি চাকুরি শেষে যাতে এসব কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা একটি আবাসনের সুবিধা পায়। সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে মানুষের মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করা। এর মধ্যে বাসস্থান অন্যতম। এছাড়াও শিক্ষাসহ অন্যান্য চাহিদা নিশ্চিত করার কাজ হচ্ছে। আমাদের এ উদ্যোগ সব পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারিদের জন্য। শুধুমাত্র আপার লেভেলের কর্মকর্তাদের জন্য নয়।

বৈঠকে বলা হয়, আগামী দুই বছরের মধ্যে সকল কর্মকর্তাদের মাঝে এ লোন প্রদান সম্ভব হবে। তবে অটোমেটেড পদ্ধতির (অনলাইন পদ্ধতিতে বেতন গ্রহণ) আওতায় আছে তাদের এ লোন সুবিধা আগে দেওয়া সম্ভব হবে। ইতোমধ্যে বেশকিছু মন্ত্রণালয় অটোমেটেড পদ্ধতির মাধ্যমে বেতন গ্রহণ শুরু করেছে বলেও জানা বক্তারা।

ব্যাংকের সুদ সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনার বিষয়ে আপনি একটি নির্দেশনা দিয়েছিলেন কিন্তু তা হয়নি এমন প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘তারা এখন পর্যন্ত পারেনি, এটা ঠিক। তবে আমি আশা করি তারা এটা করবে। তবে আমার জানামতে সরকারি ব্যাংকগুলো সিঙ্গেল ডিজিটে এসেছে। বেসরকারি ব্যাংকগুলোও চেষ্টা করছে।

হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন, জনতা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক ও রুপালী ব্যাংকের সঙ্গে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এতে করে স্তরভেদে সরকারি কর্মকর্তারা সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হোম লোন পাবে। যা আগে ছিল মাত্র এক লাখ আশি হাজার টাকা।