বড় লেনদেনে নজরদারি বাড়ানোর সুপারিশ এপিজি’র

  • আসিফ শওকত কল্লোল, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন প্রতিরোধে বাংলাদেশকে আরো কঠোর হওয়ার সুপারিশ করেছে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ অন মানি লন্ডারিং (এপিজি)। বিশেষ করে বড় বড় লেনদেনের প্রতি নজরদারি বাড়ানো আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

সম্প্রতি বাংলাদেশের ওপর এপিজির তৈরি করা দ্বিতীয় ফলোআপ প্রতিবেদনে এসব সুপারিশ করা হয়েছে। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের (বিএফআইইউ) কাছে ওই প্রতিবেদনটি পাঠিয়েছে সংস্থাটি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

এপিজি’র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অর্থায়নের ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশের বেশ অগ্রগতি হয়েছে। তবে অবকাঠামোগত উন্নয়ন না হওয়ায় দুর্নীতি, চোরাচালান, প্রতারণা, সন্ত্রাসী কাজে অর্থায়নের ঝুঁকি এখনও আছে। তাই এসব ঝুঁকি মোকাবিলায় তদারকি ব্যবস্থা আরো জোরদার করতে হবে। বিশেষ করে আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিমা কোম্পানি, মানি এক্সচেঞ্জ কোম্পানিগুলোর বিদেশি শাখা বা সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর নজরদারি আরো বাড়াতে হবে। আর দেশের শেয়ারবাজার ও সরকারি ব্যাংকগুলোকে বেশি সতর্ক থাকতে হবে।

এছাড়াও বিভিন্ন বন্দরসহ যেসব খাতে বড় বড় লেনদেন বা পণ্যের আদান প্রদান হয় যেসব স্থানে অবকাঠামোগত উন্নয়নের সুপারিশ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।

এ বিষয়ে বিএফআইইউ’র দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘এপিজি’র মূল্যায়নে বাংলাদেশের অবস্থান অনেক ভালো। ফলে আগামী ৫/৭ বছর দেশটির কালো তালিকাভুক্ত হওয়ার আশঙ্ক্ষা নেই। তবে এপিজি’র সুপারিশ অনুযায়ী অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং সুপারভিশনের দুর্বলতা কাটানো গেলে পরিস্থিতি আরো উন্নতি হবে।’

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, সংস্থাটির পক্ষ থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা কোম্পানি, মানি এক্সচেঞ্জ কোম্পানিগুলোর বিদেশি শাখা বা সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নজরদারি বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। তবে বিদেশে বাংলাদেশি এসব কোনো প্রতিষ্ঠানের শাখা নেই। শুধু ব্যাংক ও এক্সচেঞ্জ হাউজের শাখা আছে। সেগুলোতে বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়মিত তদারকি করে। ফলে এ সুপারিশ বাংলাদেশের ক্ষেত্রে প্রয়োজ্য নয়। তাদের অন্যান্য সুপারিশগুলোর বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, চোরাচালানের বিষয়ে এপিজি বরারবই আপত্তি তুলে থাকে। এটি এক দেশের ব্যাপর নয়। এর সঙ্গে প্রতিবেশী দেশও জড়িত। ফলে এ ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সংস্থাটি মনে করে, চোরাচালানের মাধ্যমে যেসব পণ্য ও এর আড়ালে অর্থ লেনদেন হয় সেগুলোর একটি অংশ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা হতে পারে।